যৌতুক দাবিতে স্ত্রীকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন

স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে দুই দিন ধরে শিকলে বেঁধে ঘরে বন্দি করে নির্যাতন চালানোর অভিযোগে স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

নির্যাতিত গৃহবধূ কালীগঞ্জের বড়োদিহী গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী। মঙ্গলবার(৭ জানুয়ারি) রাতে অভিযোগ পেয়ে গৃহবধূ ও তার বাবাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত সোহেল রানা (৩০) পেশায় ট্রাক চালক। তার মা মাহমুদা বেগম এবং বোন রুমি বেগমকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

সোহেল রানার আট বছরের সংসারে দুই মেয়ে রয়েছে। তাদের একজনের বয়স পাঁচ বছর ও অন্যজনের বয়স তিন মাস।

নির্যাতিত গৃহবধূর বাবা রিপন গাজী জানান, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই মেয়েকে মারধর করত জামাই। এ কারণে মেয়ে বেশিরভাগ সময়ই আমার বাড়িতে থাকত। মাসখানেক আগে আমার বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে যায় জামাই।

রিপন আরও বলেন, সোমবার(৬ জানুয়ারি) সকালে আমার মেয়েকে ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। পরদিন খবর পেয়ে আমি জামাইয়ের বাড়িতে যাই। ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে সোহেল রানা আমাকেও মারধর করে। ধারালো ছুরি দিয়ে আমার পায়ে কোপ দেয় সে। পরে আমি পুলিশকে খবর দিলে রাত ১১টার দিকে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

নির্যাতিত গৃহবধূ বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই স্বামী আমাকে মারধর করত। দ্বিতীয় মেয়ের জন্মের পর সে আমাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ২৭ দিন আগে তারা আমাকে নিয়ে আসে। গত সোমবার স্বামীর সঙ্গে মিলে শাশুড়ি ও ননদ আমাকে মারধর করে। তারা আমাকে ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন চালায়।’

কালীগঞ্জ থানার ওসি শাহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। অভিযুক্তরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Comments (0)
Add Comment