দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিতে শিক্ষার্থী বাছাইয়ে ডিজিটাল লটারি হয়ে গেল।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ লটারি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, লটারিতে কোনো কারিগরি ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা হবে। কোনো স্কুল বেশি ফি আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে হবে। লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সব কোটা বিবেচনা করা হয়েছে। শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
যেভাবে জানা যাবে ফল—মাউশির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ভর্তির আবেদন করেছে, লটারি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ওই মোবাইলে এসএমএস চলে যাবে।
এরপর নির্ধারিত ওয়েবসাইটে https://gsa.teletalk.com.bd/ প্রবেশ করে অভিভাবকেরা তাদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লটারির ফল ডাউনলোড ও প্রিন্ট দিতে পারবেন।
ওই একই ওয়েবসাইটে আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে প্রধান শিক্ষকেরাও নিজ নিজ স্কুলের লটারির ফল ডাউনলোড ও প্রিন্ট দিতে পারবেন। ডাউনলোড করা ফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর ইমেইলে পাঠিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।
এর আগে, ১২ নভেম্বর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। ৩০ নভেম্বর বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আবেদনের সময় ছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই বলেছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ডিজিটাল লটারি ব্যতীত অন্য কোনো পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। এবারের ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা।