দীর্ঘ অপেক্ষার পর সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশকে সামনে রেখে তাদের মধ্যে এ কথা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে এই হত্যাকাণ্ডে আরব দেশটির প্রভাবশালী যুবরাজের যোগসাজশের উল্লেখ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।
সপ্তাহ পাঁচেক আগে শপথ নেওয়ার পর বাইডেনের ফোনকলের দীর্ঘ তালিকায় অপেক্ষমাণ ছিলেন বাদশাহ সালমান।
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে হোয়াইট হাউসের আহ্বানের অংশ হিসেবে এ টেলিফোন কূটনীতি।
২০১৮ সালে ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে গুপ্তঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ওয়াশিংটন পোস্টের ওই সাংবাদিক। এতে সৌদি আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও জড়িত বলে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
হোয়াইট হাউস বলছে, বাইডেনের সঙ্গে আলাপে ৮৫ বছর বয়সী বাদশাহ নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদারের কথা বলেছেন। আর ইরানসংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর হামলার প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের ভূখণ্ডের সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইস হাউসের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সৌদি বাদশাহর সঙ্গে ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফোনালাপে মানবাধিকার ইস্যু গুরুত্ব পেয়েছে। বৈশ্বিক মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে যুক্তরাষ্ট্র সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে বলে উল্লেখ করেন বাইডেন।
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার আগমুহূর্তে সৌদি বাদশাহর সঙ্গে কথা হল বাইডেনের। যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তে খাশোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্ঠতার তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।