সৌদি আরব থেকে অধিকাংশ উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আরবে ক্রমাগতভাবে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিমান হামলার মধ্যেই সম্প্রতি এই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
উপসাগরীয় আরব দেশগুলো যখন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্যদের প্রত্যাহার নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে, তারই মধ্যে রিয়াদের বাইরে প্রিন্স সুলতান বিমান ঘাঁটি থেকে এসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরিয়ে নেওয়া হলো।
ইরানের হুমকির মুখে আরব উপদ্বীপের দেশগুলোতে এখনো হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। আরব উপসাগরীয় দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কারণ এসব দেশের সামরিক বাহিনীর এশিয়ার দেশগুলোতে হুমকির মুখে পড়েছে। এসব হুমকি মোকাবেলায় তাদের ক্ষেপণাস্ত্র পরিরক্ষা ব্যবস্থা দরকার।
বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি ব্যর্থ হওয়ায় ওই অঞ্চলে এমনিতেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। এসবের মধ্যেই সৌদি থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র।
সৌদি আরবের তরফ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক শক্তিশালী, দীর্ঘস্থায়ী এবং ঐতিহাসিক। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদি সামরিক বাহিনীই নিজেদের ভূমি, জলসীমা, আকাশসীমা আর জনগণের প্রতিরক্ষা দিতে সক্ষম।