সৌদি আরবের মসজিদগুলোতে উচ্চস্বরে মাইক ব্যবহারে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার পক্ষে যুক্তি দিয়েছে দেশটির সরকার। নানা সমালোচনার জবাবে সোমবার (৩১ মে) সৌদির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী আবদুললতিফ আল-শেখ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। খবর বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়, মসজিদের সব লাউডস্পিকারের ভলিউম সর্বোচ্চ তিন ভাগের এক ভাগ পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। আবদুললতিফ আল-শেখের মতে, লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
কিন্তু এই সিদ্ধান্ত রক্ষণশীল মুসলিম দেশটিতে অনেকেই ভালোভাবে নেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সৃষ্টি হয় সমালোচনার। এই নিষেধাজ্ঞার পর রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফেতে উচ্চস্বরে গান বাজানো নিষিদ্ধের ডাক দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছে সৌদি নাগরিকরা।
এসবের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী আবদুললতিফ জানান, যাদের কাছ থেকে অভিযোগ এসেছে তাদের মধ্যে অভিভাবকরাও রয়েছেন। তারা বলছেন, মসজিদের লাউডস্পিকারের কারণে শিশুদের ঘুমে অনেক সমস্যা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
সৌদি আরবে ভ্যাকসিন নেওয়া পর্যটকদের কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন নেই
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক বিবৃতিতে আবদুললতিফ দাবি করেন, যারা নামাজ পড়তে চান তাদের ইমামের ডাকের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। সরকারের এই পদক্ষেপের যারা সমালোচনা করছেন তাদের ‘দেশের শত্রু’। তারা জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করছেন।
বিবিসি জানায়, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমান দেশটিকে আরও উদার ও জনগণের মধ্যে ধর্মীয় বিধিনিষেধ শিথিল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। উচ্চস্বরে মসজিদের মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা এসব পদক্ষেপেরই সর্বশেষ সংযোজন। তবে ধর্মীয় ও সামাজিক বিধিনিষেধ শিথিল করলেও সৌদি আরবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আরও সংকুচিত করেছেন প্রিন্স সালমান। দেশটিতে সরকারের সমালোচনাকারী হাজার হাজার ব্যক্তিকে গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ করা হচ্ছে।