প্রবাস আয়ের প্রধান দুটি খাতের একটিতে খারাপ সংবাদ এলেও আরেকটিতে এসেছে ভালো খবর। গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছে সেপ্টেম্বরে। অপরদিকে রপ্তানি আয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯.৫১ শতাংশ। অবশ্য এক মাস ধরলে শুধু সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে ১০.৩৭ শতাংশ।
রবিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রকাশিত রপ্তানি হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সদ্যঃসমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩১ কোটি মার্কিন ডলার। এ আয় গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১০.৩৭ শতাংশ বেশি। সার্বিকভাবে পণ্য রপ্তানি আয় ইতিবাচক ধারায় থাকলেও তৈরি পোশাক ছাড়া বড় সব খাতেই রপ্তানি কমে গেছে।
আবার গত জুলাই ও আগস্টের তুলনায়ও রপ্তানি আয় কমেছে সেপ্টেম্বরে।
ইপিবির তথ্যে দেখা গেছে, জুলাই ও আগস্ট মাসে পণ্য রপ্তানি হয়েছিল যথাক্রমে ৪৫৯ ও ৪৭৮ কোটি ডলারের। সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৩১ কোটি ডলার হয়েছে। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে পণ্য রপ্তানি আয় কমেছে।
সে ক্ষেত্রে জুলাইয়ের তুলনায় কমেছে ৬.১০ শতাংশ, আর গত আগস্টের তুলনায় কমেছে ৯.৮৩ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এক হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৫১ শতাংশ বেশি। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল এক হাজার ২৫০ কোটি ডলার। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫.২৬ শতাংশ।
মূলত তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি থাকায় চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, বাইসাইকেলসহ প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমে গেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট পণ্য রপ্তানির ৮৫ শতাংশ তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে। রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ১৬২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক খাতের মধ্যে ৬৭৬ কোটি ডলারের নিট পোশাক ও ৪৮৫ কোটি ডলারের ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ সময় নিট পোশাকে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯.৭০ শতাংশ। ওভেন পোশাকের প্রবৃদ্ধি ৪.৯৭ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাকের পর সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, যার পরিমাণ ২৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮.৪৪ শতাংশ কম। এ ছাড়া প্রথম প্রান্তিকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি ৯.৬৭, হোম টেক্সটাইলে ৪৬.৩৯ শতাংশ, চামড়াবিহীন জুতায় ১ শতাংশ ও হিমায়িত খাদ্যের রপ্তানি ১১.৫১ শতাংশ কমেছে।