প্রথম পাতাজুড়ে যার লেখা না থাকলে জাতীয় দৈনিকের বিশেষ সংখ্যা অপূর্ণ থেকে যায়, সেই শিক্ষবিদের আজ জন্মদিন। তিনি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। আজীবন সংগ্রামী আর আদর্শে দৃঢ়চেতা এই মানুষটি জীবনের ৮৪ বসন্ত পার করেছেন। প্রায় ছয় দশক ধরে লিখে আসছেন। এই দীর্ঘ সময়ে তার লেখার কদর এতটুকুও কমেনি। ক্ষুরধার লেখনীতে পাঠকের হৃদয়ে শক্ত স্থান দখল করে আছেন।
পাঠদান থেকে অবসর নিয়েছেন এই ইমেরিটাস অধ্যাপক। কিন্তু গবেষণা বা আন্দোলনে এখনও সমহিমায় ভাস্বর। তার ব্যস্ততা আরও বেড়েছে। এখনও কাজেই ডুবে থাকতে চান। লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আড়ম্বরপূর্ণভাবে জন্মদিন পালন করতে পছন্দ করেন না। বলেন, ‘ওভাবে তো জন্মদিন উদযাপন করি না। তার প্রয়োজনও দেখি না। পেছনে ততটা তাকাই না। সামনের দিকেই চোখ রাখি। বয়স বাড়ছে। শুধু লক্ষ রাখি– কাজের ধারাবাহিকতা থাকছে কিনা, সেটি জরুরি।’
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৬ সালে ২৩ জুন, বিক্রমপুরে। প্রায় শত গ্রন্থের রচয়িতা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন দীর্ঘ সময়। ইংরেজির শিক্ষক হলেও বাংলা ভাষায় তার প্রজ্ঞা যে কেউ স্বীকার করতে বাধ্য। পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই মানুষটির পাতাজুড়ে লেখার অপেক্ষায় থাকেন পাঠক। এত বড় লেখা যার পরতে পরতে মেসেজ। পাঠক বিরক্ত হন না এতটুকুও। এভাবেই চলে আসছে কয়েক যুগ।
তার গবেষণা ও লেখালেখির মূল অনুপ্রেরণা সাম্যের স্বপ্ন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি সম্পাদনা করেছেন পত্রিকা, সম্পৃক্ত হয়েছেন জনমুখী আন্দোলনে।
বর্তমানে তিনি নতুন দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক। কর্মজীবনে তিনি ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট এবং সিন্ডিকেটের সদস্য ছিলেন। দুবার তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের উপাচার্য নিয়োগের প্যানেলে মনোনয়ন পেলেও ভিসি পদ প্রত্যাখ্যান করেছেন।