সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণ: স্ত্রী-সন্তানের পর স্বামীরও মৃত্যু, পরিবারে রইল না কেউ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঘরে জমা গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ আটজনের মধ্যে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা চারজনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ভোররাতে মারা যান সোহাগ (২৩)। তিনি পেশায় পোশাক শ্রমিক।

সোহাগের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল এবং তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানান ডা. শাওন।

এর আগে রবিবার তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক রূপালী ও শনিবার দেড় বছরের শিশু কন্যা সুমাইয়া একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তারা যথাক্রমে ৩৪ ও ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলেন।

সোহাগ তার স্ত্রী, কন্যাকে নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ডা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। আগুনে পরিবারের তিনজনের সবাই মারা গেলেন।

একই ঘটনায় দগ্ধ আরেক পরিবারের সদস্য রিকশাচালক মো. হান্নান (৪০) গত শনিবার মারা যান। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

গত ৩ মার্চ ভোররাতে লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে জমা গ্যাস বিস্ফোরণের পর আগুনে দুই পরিবারের আট জন দগ্ধ হন।

এ ঘটনায় নিহত হান্নানের স্ত্রী পোশাক শ্রমিক নূরজাহান আক্তার লাকি (৩০), তাদের সন্তান জান্নাত (৩), সামিয়া (৯) ও সাব্বির (১৬) এখনও বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন।

Comments (0)
Add Comment