করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লক করা হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম সংশোধন করায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর।
সোমাবার বিকেলে ৬৬তম কমিশন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, সাহেদের নাম পরিবর্তন জালিয়াতির সাথে ইসির কারা জড়িত, খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রমাণসাপেক্ষে সাহেদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, এনআইডি মহাপরিচালকের সাথে আমার কথা হয়েছে। সাহেদ বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সনদ দিয়ে এনআইডি সংশোধন করেছেন। আমরা ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখব প্রকৃত ঘটনা কী। এরপর তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সংশোধিত এনআইডি বাতিল করা হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এ ধরনের ঘটনায় অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। অনেকে শাস্তিও পেয়েছেন।
আলমগীর বলেন, সাহেদ প্রথমে যে এনআইডি করেছিলেন, সেখানে তার নাম ছিল সাহেদ করিম। পরবর্তীকালে তিনি এটি সংশোধন করে মো. সাহেদ হয়ে যান। প্রথমে তার জন্ম সাল ছিল ২ জুলাই ১৯৭৫। পরবর্তীকালে তিনি সেটা ৭৮ করে নেন। আবার এর স্বপক্ষে তিনি ও-লেভেলের কাগজপত্র দাখিল করেন। ওই শিক্ষাগত সনদের সত্যতা খতিয়ে দেখা হবে।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর গা-ঢাকা দেওয়া সাহেদকে গত বুধবার সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে একটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, ধরা পড়ার মুহূর্তে সাহেদ নিজেকে একজন গণমান্য ব্যক্তি বলে দাবি করেছিলেন।
গ্রেপ্তারের পরদিন মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ সাহেদকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায়। অন্যদিকে সাহেদের আইনজীবী তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে সাহেদকে ডিবি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে ডিবি হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।