অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বর্তমানে ইনফ্লেশন (মুদ্রাস্ফীতি), আমরা যা ধারণা করেছিলাম তার মধ্যেই আছে। সার্বিক বিবেচনায় মুদ্রাস্ফীতি বাড়েনি। ইনফ্লেশন আমরা প্রতিনিয়ত পর্যালোচনা করেই আপডেট নেই। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। তবে জ্বালানির যেভাবে দাম বাড়ছে সেভাবে খাদ্য শস্যের দামও বাড়ছে।
আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডলারের প্রাইস তো আমরা নির্দিষ্ট করে রাখিনি, এটা নির্দিষ্ট না উল্লেখ করে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এটা চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। চাহিদা যদি বেশি থাকে আর সরবরাহ যদি কম থাকে তাহলে ডলার দাম বাড়বে। এটা স্বাভাবিকভাবেই অ্যাডজাস্ট করে নেয়। অতীত থেকে আমরা যেভাবে করে আসছি, সেভাবেই হয়ে আসছে। এখানে আইএমএফ কী বলেছে আমি জানি না।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আইএমএফ পরামর্শ দিতে পারে, কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে বলতে পারে না। পরামর্শ দিতেই পারে কারণ তারা আমাদের ডেভলপমেন্ট পার্টনার। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে তারা ওতোপ্রতভাবে জড়িত। তিনি বলেন, আমরা মনে করি আমাদের নিজস্ব যে প্যাগড কারেন্সি সেটি ফ্ল্যাক্সিবলই আছে।
তিনি বলেন, ডলার বেচাকেনা কিভাবে হয়, ব্যাংকগুলোর কাছে যখন ডলারের পরিমাণ বেশি থাকে তখন বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু ডলার কিনতে পারে। অন্যান্য দেশেও এটা করা হয়ে থাকে। অন্যান্য দেশে এটা ফিক্সড করা থাকে, মার্কেট আপগ্রেড করুক বা না করুক ফিক্সড রেটেই নিতে হবে। আমাদের দেশে এমন নয়।