সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম। রবিবার সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যালয় থেকে সারা দেশের কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। এরপর দেশের ১০০৫টি হাসপাতালে স্থাপিত কেন্দ্রে টিকা দেয়া শুরু করেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। তবে এর আগে সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) কেন্দ্রে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। আজ সকাল ৯টায় হাসপাতালটির কনভেনশন সেন্টারে স্থাপিত কেন্দ্রে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এই কেন্দ্রে টিকা নিচ্ছেন বিচারপতি, চিকিৎসক সহ ভিআইপিরা। প্রতিদিনই নির্বিঘ্নভাবে টিকাদান কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া। ওদিকে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল পৌনে ১০টায় টিকাপ্রদান কার্যক্রম শুরু হয়।
এদিকে টিকা নিতে শনিবার বিকাল আড়াইটা পর্যন্ত ৩ লাখ ২৮ হাজার ১৩ জন নিবন্ধন করেছেন।
সরকার প্রথম মাসে ৩৫ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। সে অনুযায়ী প্রতিদিন এক লাখের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ঢাকাসহ সারা দেশের এক হাজার ৫টি হাসপাতালে ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা প্রদান কার্যক্রম একযোগে শুরু হচ্ছে। ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি দল ভ্যাকসিন দিতে কাজ করবে। ঢাকার বাইরে ৯৯৫টি হাসপাতালে কাজ করবে ২ হাজার ১৯৬টি দল।