সিঙ্গাপুর । দুই শ’ পঞ্চান্ন বর্গ মাইলের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র, যার লোক সংখ্যা মাত্র তিপ্পান্ন লক্ষ। ত্রিশ বছরের চেষ্টায় তারা আজ এক উন্নত জাতি ও রাষ্ট্র । এক সময় তাদের খাওয়ার পানিও আনতে হত পাশের দেশ মালয়েশিয়া থেকে। সেই দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, আইনের শাসন আজ প্রশংসিত ও অনুকরণীয়।
দু হাজার আট সালে আমি প্রথম সিঙ্গাপুরে যাই ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ফ্যাকাল্টি অব ল’ এর আমন্ত্রণে আন্তর্জাতিক একটি সেমিনারে যোগ দিতে। এবারও আইন অনুষদে গেলাম।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ফ্যাকাল্টি অব ল এখন এশিয়ার নাম্বার ওয়ান ল’ ফ্যাকাল্টি এবং সারা বিশ্বে তেরতম। চিন্তা করা যায়!
কষ্ট লাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের জন্য। সম্ভাবনা থাকা সত্বেও আমাদের আইন অনুষদের বিকাশ হল না। মানের বিচারে দেশের মধ্যে আমাদের অবস্থান নিশ্চয়ই অনেক উঁচুতে । সার্ক দেশগুলোর মধ্যেও হয়ত আমাদের অবস্থান খারাপ হবে না।
কিন্তু ঊনিশ শ’ একুশ সালের একটি অনুষদ দু হাজার বিশ সালেও এক ফ্যাকাল্টি এক ডিপার্টমেন্ট থেকে গেল। অথচ আমরা অনুষদের অধীনে অনেকগুলো বিভাগ, গবেষণা কেন্দ্র ও সেন্টার অব এক্সেলেন্স করতে পারতাম। বিদেশী শিক্ষার্থীদের আইন অনুষদে পড়বার ব্যবস্থা করতে পারতাম। বিদেশী স্কলাররাও যদি ক্লাস নিতে আসতেন। দেশের ভেতরে পেশাজীবীদের জন্য নানা কোর্সের ব্যবস্থা করতে পারতাম। জাতীয়ভাবে মানসম্মত ও কার্যকর আইন প্রণয়নে ভূমিকা রাখতে পারতাম।
শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন
অধ্যাপক, আইন বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।