সমাজে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার যে কারণ বললেন জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দেশে কোরআনের অনুশাসন নেই বলেই ধর্ষণ বাড়ছে। মাগুরার শিশুর মতো প্রতিনিয়ত অনেকেরই জীবন দিতে হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীতে মিরপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এক ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন জামায়াত আমির। মিরপুর পূর্ব থানা জামায়াত স্থানীয় সুধীদের সম্মানে এ ইফতারের আয়োজন করে।

জামায়াত আমির বলেন, ‘মানবরচিত মতবাদ দিয়ে দেশ পরিচালনার কারণে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে এত অশান্তি। ফলে দেশ এখন অপরাধ ও অপরাধীদের রীতিমতো অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী এমন এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেখানে মানুষ নিজেদের অধিকার নিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে। দেশে কোনো দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ছিনতাই, অপহরণ ও ধর্ষণসহ কোনো অপরাধ থাকবে না। রাষ্ট্রই সব নাগরিকের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সকল মৌলিক ও মানবীয় অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এমন একটি শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনের সব ক্ষেত্রে কুরআন-সুন্নাহর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী কুরআনের আলোকে আলোকিত এক নতুন বাংলাদেশ গড়তে দেশ ও জাতির কাছে প্রতিশ্রতিবদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘রমজান মাস এমন এক মহিমান্বিত মাস, যে মাসের প্রথম দশকে রহমত, মধ্য দশকে মাগফিরাত এবং শেষ দশকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। এ মোবারক মাসেই বদর যুদ্ধ বিজয়ের মাধ্যমে ইসলাম প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পেয়েছিল। মক্কা বিজয়ও হয়েছে এ মাসেই। এরপর বড় বড় বিজয়ের মাধ্যমে ইসলাম বিশ্বের অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তাই বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য ব্যক্তি, সমাজ, পরিবার ও রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে কুরআনের অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘কুরআন দিয়ে দেশ পরিচালিত হলে দেশে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি, দুঃশাসন, খুন, ধর্ষণ অপহরণ কোনো কিছুই থাকবে না। যাকাতভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত দেশ দারিদ্রমুক্ত হবে। কোনো যুবক বেকার বা কর্মহীন থাকবে না। থাকবে না মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ বা বৈষম্য।’

তিনি বলেন, ‘দেশকে ইসলামী আদর্শের ভিত্তি কল্যাণ রাষ্ট্রের পরিণত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। তাহলে দেশকে একটি শান্তির নীড়ে পরিণত করা সম্ভব।’

Comments (0)
Add Comment