উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হওয়া অন্তত ৩৫ জনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অমল কান্তি নাথ। তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে যারা কম গুরুতর, তাদের এই হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। তবে যারা এসেছেন, সবার শরীরেই দগ্ধ হওয়ার চিহ্ন রয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজিআই’ মডেলের বিমানটি উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। বিকট শব্দ ও আগুনের গোলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, অভিভাবকরা ছুটে আসেন সন্তানদের খোঁজে।
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অমল কান্তি নাথ বলেন, আমাদের এখানে বহু আহতকে আনা হয়েছে। যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, এমন অন্তত ৩০-৩৫ জনকে আমরা বার্ন ইউনিটে রেফার করেছি। কম গুরুতরদের এখানে চিকিৎসা চলছে। যারা আসছেন, তাদের সবার শরীরেই পোড়ার চিহ্ন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনেকের হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়েছে। কিছু রোগীর শ্বাসনালিতেও ধোঁয়ার প্রভাব পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুরুতরদের দ্রুত রেফার্ড করায় সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়েছে।