তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি নেতাদের নানা মন্তব্য তাঁদের রাজনীতির অন্তঃসারশূন্যতা এবং সব কিছুতে ‘না’ বলার বাতিকেরই প্রমাণ।”
তিনি বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বলেন, ‘আপনারা জানেন, সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আইন প্রস্তুত করার জন্য খসড়া মন্ত্রিসভায় প্রেরণ করেছে। মন্ত্রিসভা সেই আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে। আমাদের সংবিধানে একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা বলা আছে। কিন্তু ৫০ বছরেও সেই আইন হয়নি। রাষ্ট্রপতি কিছুদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যে সংলাপ করেছেন, সেখানে বেশির ভাগ দলই একটি আইন প্রণয়নের কথা বলেছে। সে প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাহেব ঠিকই বলেছেন যে, নয়াপল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে যে লবিস্ট ফার্মের সাথে বিএনপি চুক্তি করেছিল সেই লবিস্ট ফার্মকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা তারা প্রদান করেছে। শাহরিয়ার আলম আরো একটি কথা বলেছেন, বিএনপির মোট অর্থ ব্যয় প্রায় পৌনে চার মিলিয়ন। এবং বিএনপি আরো ভিন্ন ভিন্ন নামে, ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা দিয়েও লবিস্ট নিয়োগ করেছে, এখন পর্যন্ত অনুসন্ধানে যেটুকু পাওয়া গেছে, তারা পৌনে চার মিলিয়ন ডলার এই ক্ষেত্রে ব্যয় করেছে। এই টাকা তারা কোথা থেকে পেল, এর হিসাব কি তারা নির্বাচন কমিশনে দিয়েছে? এই টাকা বিদেশে প্রেরণ করার জন্য তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিয়েছে- কোনোটাই তো নয়। তাহলে এই অপকর্মকে ঢাকার অপচেষ্টা সেটি সত্যিই দুঃখজনক। সুতরাং এখানে সংবাদ বিশ্লেণের নামে বিএনপির এই অপকর্মকে ঢাকার অপচেষ্টা করা হয়েছে। একটি শীর্যস্থানীয় পত্রিকার জন্য সেটি কতটুকু যৌক্তিক সে প্রশ্ন এসে দাঁড়ায়।’