সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চার ফ্লোরের ২০০ কক্ষ

প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেছেন গণপূর্তের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া। তিনি জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোরের প্রায় ২০০ কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি।

আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, আগুনে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোরের প্রায় ২০০টি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কীভাবে আগুন লেগেছে সেটি তদন্ত শেষেই বলা যাবে।

এই কর্মকর্তা বলেন, ভবনটি সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করা যাবে ক না, সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই বোঝা যাবে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্পষ্ট হবে সংস্কার সম্ভব কি না। সংস্কার করা সম্ভব হলে সংস্কার কাজে কতদিন লাগতে পারে, সেটিও তদন্ত রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে।

আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, গত বুধবার আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা গণপূর্তের লোকজন এসেছিলাম, আমাদের খুব বেশি দেরি হয়নি। ফায়ার সার্ভিসকে আমরা গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছি।

সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো ভবনটি গণপূর্তের কাছে হস্তান্তর করেনি জানিয়ে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, যখন অ্যাসেসমেন্ট করে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে প্রতিবেদন দেবে তখনই হয়তো আমরা বুঝবো এটি সংস্কার করতে কতদিন লাগবে।

এদিকে সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

গত ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ৭ নম্বর ভবনে। আগুনে এই ভবনে থাকা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে কম্পিউটার ও আসবাব। দেয়াল ও মেঝেতেও বড় ক্ষতি হয়েছে। ভবনটির ক্ষতিগ্রস্ত তলাগুলো আপাতত ব্যবহার করার সুযোগ নেই। এ জন্য অস্থায়ীভাবে বিকল্প অফিস করছে মন্ত্রণালয়গুলো।