জানা অজানা অগণিত তথ্য দিয়ে সাজানো সংবাদপত্রের পাতা। এ সবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তথ্য মনে দাগ কাটলেও, অনেকগুলোই দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। আবার প্রথম পাতার সব শিরোনামও সবার পড়ার সুযোগ হয়না। মাল্টিনিউজের পাঠকদের জন্য এবার সেই অয়োজন সংবাদপত্রের পাতা থেকে। চলুন আজ
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) কোন সংবাদপত্রের প্রধান শিরোনাম কী, তা জেনে নিই।
কালের কণ্ঠ: ‘এবারও গ্রীষ্মে ভোগাবে লোডশেডিং’
প্রতিবেদনে আরো থাকছে, এবারও গ্রীষ্মে বাংলাদেশে বিদ্যুতের সংকট থাকবে এবং লোডশেডিং বেড়ে যাবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর অতিরিক্ত ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও জ্বালানির অভাব এবং বকেয়া পরিশোধের সমস্যা রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে গ্রীষ্মে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকতে পারে, যার কারণে দিনে প্রায় তিন ঘণ্টা লোডশেডিং হতে পারে।
বিদ্যুৎ খাতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘাটতি পূরণে এসি ব্যবহারের ওপর সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যেমন: সাশ্রয়ী বাল্ব, ফ্যান ও এসি ব্যবহারের প্রচলন।
সরকার ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। পাশাপাশি, নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য চুক্তি হয়েছে, যা জুন থেকে বাংলাদেশে সরবরাহ শুরু হবে।
তবে, বিদ্যুতের বর্তমান উৎপাদন সক্ষমতা এবং জ্বালানির সংকটের কারণে লোডশেডিংয়ের সমস্যা নিরসন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রথম আলো: ‘সড়কটি যেন ‘সোনা দিয়ে মোড়ানো’ হবে’
প্রতিবেদনে আরো থাকছে, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরকে সংযুক্ত করতে ২৭ দশমিক দুই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর।
এই সড়ক প্রকল্পটির ব্যয় ১২ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা, যা দেশে সবচেয়ে ব্যয়বহুল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রতি কিলোমিটারে প্রায় ৪৭৬ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে, যা ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের প্রায় দ্বিগুণ।
সড়কটি দুই লেন এবং বন্দরের কাছাকাছি জায়গায় চার লেন নির্মাণ করা হবে। এতে কিছু সেতু ও কালভার্টও নির্মাণ হবে।
এই প্রকল্পে বিপুল ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানও এই ব্যয়ের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
যদিও নির্মাণ উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলারের মানের কারণে ব্যয় বেড়েছে, তবে এত বেশি খরচ কিছুটা অগ্রহণযোগ্য বলে মনে হচ্ছে।
প্রকল্পটি জাপানের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এতে সড়ক নির্মাণের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
তবে, প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে প্রায় ৫৮ শতাংশ বেশি দামে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এত বিপুল ব্যয় দিয়ে প্রকল্পটির সুফল কতটা হবে।
বণিক বার্তা: ‘বিদ্যুতে ভর্তুকি বরাদ্দ বাড়ছে গত অর্থবছরের তুলনায় ৭৭%’
প্রতিবেদনে আরো থাকছে, চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ৬২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭৭ শতাংশ বেশি।
গত বছরের বাজেটে বিদ্যুতে ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। বিদ্যুতে ভর্তুকি বাড়ানোর প্রধান কারণ হলো বিগত সরকারের রেখে যাওয়া বিপুল পরিমাণ বকেয়া।
বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, কিন্তু বিতর্কিত চুক্তি বাতিল বা কাঠামোগত বড় পরিবর্তন না হওয়ায় তেমন সুফল আসেনি।
যদিও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ কমেছে, তবুও জ্বালানি তেলচালিত কেন্দ্রের ব্যবহারে সাশ্রয় হওয়া অর্থ খরচ কমাতে সহায়তা করছে না।
বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি ও অযৌক্তিক খরচ রয়েছে যা হ্রাস করা সম্ভব হয়নি। সরকার বিদ্যুৎ খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, তবে এগুলোর আর্থিক ফলাফল পরবর্তী বছরে আসতে পারে।
একই সঙ্গে, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, সরকারের শিগগিরই খরচ কমানোর সম্ভাবনা নেই, কারণ পূর্ববর্তী বকেয়া পরিশোধ করতে আরও ভর্তুকির প্রয়োজন হচ্ছে।
নিউ এজ: ‘Major parties set to miss deadline’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বেশিরভাগ প্রধান রাজনৈতিক দল আজকের মধ্যে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের (এনসিসি) গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের বিষয়ে তাদের মতামত জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা মিস করবে।
বেশিরভাগ দল জানিয়েছে, তারা সময় নিয়ে মতামত জমা দেবে, আর কিছু দল বলেছে যে তারা কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে শুধু বিবৃতি প্রকাশ করবে।
সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজ তাদের উত্তর জমা দেবে বলে জানিয়েছে।
এনসিসি, যেটি ১২ই ফেব্রুয়ারি গঠন করা হয়, তারা পাঁচই মার্চ ১৬৬টি মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন ৩৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটকে পাঠিয়েছে এবং ১৩ই মার্চের মধ্যে উত্তর চেয়েছে।
এই প্রশ্নপত্রে দলগুলোকে বিভিন্ন সংস্কারের প্রস্তাবের বিষয়ে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। সম্মত, আংশিক সম্মত বা সম্মত নয়–– এই তিনটি উত্তরের মধ্যে টিক চিহ্ন দিয়ে উত্তর দিতে বলা হয়েছে।
আবার সংস্কার প্রক্রিয়া গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা উচিত, না কি ঐকমত্যের ভিত্তিতে–– এটাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক বিএনপি নেতার মতে, শুধু টিক চিহ্ন দিয়ে উত্তর দেওয়া বিভ্রান্তির সৃষ্টি করবে, তাই তারা আরও বিস্তারিত প্রতিবেদন দেবে।
জামায়াতও তাদের মতামত সম্পূর্ণ করতে কিছু সময় নেবে। বামপন্থী দলগুলো অভিযোগ করেছে যে, শুধুমাত্র মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রাজনৈতিক ঐক্য সৃষ্টি করা সম্ভব নয়।
ঐকমত্য কমিশন দলগুলোর মতামত পাওয়ার পর শিগগিরই আলোচনার আয়োজন করবে।
যুগান্তর: ‘জল্লাদের ভূমিকায় ‘অ্যাকশন গ্রুপ”
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বগুড়ার পুলিশ লাইনে এক গোপন বন্দিশালায় নিরপরাধ মানুষদের গুম এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
২০১৭ সালে, পুলিশ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান মণ্ডল, এসপি মো. আসাদুজ্জামান ও তাদের সহযোগীরা এই নৃশংস কাজ পরিচালনা করতেন।
এসব নির্যাতিতদের অনেককেই জঙ্গি মামলায় ফাঁসানো হয়, এমনকি কিছু হত্যাকাণ্ডও সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হত।
এ সময় নির্যাতনের শিকার হাফিজুর রহমান হাফিজ এবং আল-আমিনসহ অনেকেই অভিযোগ করেছেন, যাদেরকে গুম করে অপারেশন ঈগল হান্টের মতো জঙ্গিবিরোধী অভিযানে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
এই নির্যাতনের পেছনে ছিল পুলিশের একটি বিশেষ ‘অ্যাকশন গ্রুপ’, যার মধ্যে বগুড়া ডিবির কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
অনেক নিরপরাধ ব্যক্তি দীর্ঘদিন গুম থাকার পর পরে তাদের ওপর জোর করে জঙ্গি তকমা চাপানো হত।
কিছু হত্যাকাণ্ডের পর, মৃতদেহ নদীতে ফেলা হত বা সড়ক দুর্ঘটনায় মরাদেহ দেখানো হত।
অভিযোগ ওঠে যে এসব অপকর্মের নেতৃত্বে ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আরিফ মণ্ডল এবং তার সহকর্মীরা, যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তবে অভিযুক্তরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নয়া দিগন্ত: ‘৫৩ হাজার কোটি টাকার কাটছাঁট’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি অর্থবছরের জন্য দেশের জাতীয় বাজেট সংশোধন করা হয়েছে, এবং ৫৩ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে।
ফলে সংশোধিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা হয়েছে, যা আগের বাজেটের চেয়ে কম। এর আগে গত অর্থবছরে ৫৭ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছিল।
সংশোধিত বাজেটের আওতায়, প্রত্যেক খাতের জন্য বরাদ্দ করা অর্থের অতিরিক্ত কোনো ব্যয় গ্রহণ না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে যদি কোনো খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা সংশোধিত বাজেটের অংশ হিসেবে গণ্য হবে।
এই সংশোধিত বাজেটের পর, প্রকল্পগুলোর জন্য অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে কোনো সম্মতির প্রয়োজন হবে না এবং প্রকল্প পরিচালকরা সরাসরি অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়া, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রাক্কলিত হয়েছে আট লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা, যা আগামী মে মাসে চূড়ান্ত করা হবে এবং বাজেটের আকার আরও বৃদ্ধি পাবে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা, তবে ছয় মাসে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকা।
দ্য ডেইলি স্টার: ‘Moody’s cuts banking outlook to negative’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মুডি’স বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের আউটলুক ‘স্থির’ থেকে ‘নেতিবাচক’ এ নামিয়ে দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি এটি করেছে ব্যাংকিং খাতে বাড়তি সম্পদের ঝুঁকি ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে।
মুডি’স রিপোর্টে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর মুনাফা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। কারণ সম্পদের মান খারাপ হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি বাড়ছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয় যে, ব্যাংকগুলোর জন্য নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল ) বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ব্যাংকিং খাতে সম্পদ ঝুঁকি আরও বাড়াবে।
এছাড়া, এপ্রিল ২০২৫ থেকে নতুন এনপিএল শ্রেণিবিভাগ নীতি কার্যকর হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
ব্যাংকগুলোর লাভের সম্ভাবনা কমবে এবং ঋণ খাতে ক্ষতির জন্য সংরক্ষিত তহবিল বাড়াতে হবে। তবে কিছু ব্যাংক যারা শক্তিশালী, তাদের নিট সুদ মার্জিন বাড়বে।
মুডি’স বাংলাদেশ অর্থনীতির জন্য ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে চার দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করছে, যা গত বছর ছিল পাঁচ দশমিক আট শতাংশ।
এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, গার্মেন্ট সেক্টরের সংকট এবং অভ্যন্তরীণ-বিদেশি চাহিদার পতন উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা ট্রিবিউন: ‘Rohingya fear crime surge amid food ration cuts’
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় খাবারের বরাদ্দ কমানোর কারণে শরণার্থীরা ক্ষুধা ও অপুষ্টির শঙ্কায় আছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানের পর সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
বর্তমানে কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে এক মিলিয়ন বা দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
রোহিঙ্গারা জাতিগত নিপীড়ন এবং নাগরিকত্বহীনতার শিকার, আর তারা বাইরে কাজ করতে পারছে না।
তারা ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) খাবারের ওপর নির্ভরশীল, কিন্তু এই এজেন্সি পহেলা এপ্রিল থেকে খাবারের বরাদ্দ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে, কারণ তহবিলের অভাব।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, যদি নতুন তহবিল না পাওয়া যায়, তবে খাবারের বরাদ্দ প্রতি ব্যক্তি $১২.৫০ থেকে কমিয়ে ছয় ডলার করা হবে।
শফিকা নামের একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী বলেছেন, তারা বাইরে কাজ করতে গেলে গ্রেপ্তার বা হত্যার শিকার হতে পারেন। তারা ভয় করছেন যে বরাদ্দ কমানো হলে চুরি ও দস্যুতা বেড়ে যাবে এবং শিশুদের অপহরণ করা হবে।
বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ কমিশনার মনে করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশি সহায়তা কাটছাঁটের কারণে এই তহবিল সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর কথা বলেছে, তবে তাতেও পর্যাপ্ত তহবিল আসছে না। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে খাদ্য বরাদ্দ কমানোর ফলে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির অবস্থা আরও খারাপ হবে।
সমকাল: ‘ডায়ালাইসিস যন্ত্রের দরপত্রে ‘ষড়যন্ত্র”
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কিডনি রোগীদের জন্য ডায়ালাইসিস সেবা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের একটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে, যার জন্য ২৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।
কিন্তু পাঁচ বছর পরেও প্রকল্পের কাজ এগোয়নি, কারণ বিভিন্ন শর্তে জটিলতা এবং দুর্নীতির কারণে বারবার দরপত্র বাতিল হয়েছে।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল ৪৪ জেলায় ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপন করা, কিন্তু যন্ত্রপাতি কেনার সমস্যায় তা সম্ভব হয়নি।
প্রকল্পের অগ্রগতি শূন্য এবং এখন পর্যন্ত মাত্র দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
স্বাস্থ্যের অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পাওয়া দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের জন্য প্রকল্পের কাজ আটকে যাচ্ছে।
এসব কর্মকর্তারা পছন্দের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গোপনে কাজ করাতে একাধিক শর্ত আরোপ করেছেন, যার কারণে যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ফলে কিডনি রোগীরা এখনও প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছেন না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি ৪৪ জেলায় ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপন করা যেত, তবে রোগীরা ঢাকামুখী হওয়ার বদলে স্থানীয়ভাবে সেবা পেতেন।
তবে নতুন পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার পর দ্রুত কাজ শুরু করার আশাবাদ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।