রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাতের অবসান কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকালে (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ২৭ মিনিট) সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে বাংলায় দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাতের অবসান চাই।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একটি দেশকে শাস্তি দিতে গিয়ে নারী, শিশুসহ ও গোটা মানবজাতিকেই শাস্তি দেওয়া হয়। এর প্রভাব কেবল একটি দেশেই সীমাবদ্ধ থাকে না বরং সকল মানুষের জীবন-জীবিকা মহাসঙ্কটে পতিত হয়। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়।
আলাপ-আলোচনাই সঙ্কট ও বিরোধ নিষ্পত্তির সর্বোত্তম উপায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার মতো বৈরি পন্থা কখনো কোনো জাতির মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। বিশেষ করে, শিশুরাই বেশি কষ্ট ভোগ করে। তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে হারিয়ে যায়।
করোনাভাইরাসের টিকার ব্যবস্থা করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তিনি বলেন, মহামারি থেকে আমাদের নিরাপদ উত্তরণের মূল চাবিকাঠি টিকা। এই টিকা সরবরাহের জন্য আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এর কোভ্যাক্স ব্যবস্থা এবং আমাদের সহযোগী দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানাই। ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে টিকা পাওয়ার যোগ্য শতভাগ মানুষকে আমরা টিকা দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি থেকে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় হলো যতক্ষণ পর্যন্ত সবাই নিরাপদ নয়, ততক্ষণ কেউই নিরাপদ নয়। এই অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘসহ আমাদের অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর বাস্তবিক ও অত্যাবশ্যক সংস্কার করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য আরও কার্যকর প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়।