জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ যেন আর কখনো পথ হারিয়ে না ফেলে সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। জামায়াত সংস্কার উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। বিশেষ করে বাংলাদেশে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচনব্যবস্থার পক্ষে জোরালো মতামত ব্যক্ত করেছি। বিশ্বাস করি, এই ব্যবস্থায় জনগণের মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত হবে। ফ্যাসিবাদী শাসন পুনরায় ফিরে আসার পথও রুদ্ধ হবে।
শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার পার্টিতে এসব কথা বলেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিও তুলেছি। আশা করি, সরকার আমাদের এ আহ্বানে সাড়া দেবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
শফিকুর রহমান বলেন, একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ব্যবস্থা টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। জামায়াত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। এদেশের প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে।
জামায়াত আমির বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের ইফতার পার্টি আয়োজন করতে দেয়নি। এমনকি অনুষ্ঠানের জন্য ভেন্যু বুকিং ও অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও শেষ পর্যন্ত সরকারের বাঁধার কারণে সেইসব আয়োজন বাতিল করতে হয়েছে।
ইফতার পার্টিতে অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপি, চীনের রাষ্ট্রদূত মি. ইয়ো ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার গিরি গোরিওভিস কোজিন, অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনার সুসান রেলি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মিকায়েল মিলার, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রমিস সেনসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। ছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন, আইআরআই এবং এনডিপির প্রতিনিধিরা।
নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।