শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে প্রেসিডেন্ট ও নতুন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। জনগণ দেশের নেতৃত্বকে দুর্নীতি এবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী করার প্রেক্ষিতে গত দুই মাস ধরেই রাজধানীতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
দেশটির নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে স্কাই নিউজকে বলেছেন, দেশের বর্তমান সঙ্কটের জন্য সর্বশেষ সরকার দায়ী৷ সর্বশেষ প্রশাসন দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে বলেও মন্তব্য করেন।
শ্রীলঙ্কার ইংরেজি দৈনিক দ্য আইল্যান্ড জানায়ঃ গত সপ্তাহে নিজের বিতর্কিত নিয়োগের পর স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিক্রমাসিংহে বলেন, “আমরা এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি যে আমরা দেউলিয়া হয়ে গেছি – যেমনটি শ্রীলঙ্কায় আগে কখনো ঘটেনি। আমাদের কাছে কোনো ডলার নেই, কোনো রুপি নেই।”
তরুণ এবং বৃদ্ধ সব বয়সের প্রতিবাদকারীদের যন্ত্রণাই তিনি বুঝতে পারেন- এমন দাবি করে বিক্রমাসিংহে বলেন, “তরুণরা দেখছে যে তাদের ভবিষ্যৎ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, বৃদ্ধরাও কষ্ট পাচ্ছে, মধ্যবিত্তদের জীবনধারা ভেঙে পড়ছে… কৃষকরা সার পাচ্ছে না। পুলিশ স্টেশন, পেট্রোল পাম্প এবং অন্যান্য জায়গার সামনে অনেক বিক্ষোভ হয়েছে। জনগণ যে ক্ষোভ, হতাশা অনুভব করছে এগুলো সেসবরেই প্রতিফলন। মানুষ এই বোঝা আর বইতে পারছে না। আমরা আসলেই খুব স্থিতিশীল অবস্থানে নেই।”
জ্বালানির দাম সামনে আরও বাড়বে এমন উদ্বেগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রধান উদ্বেগের বিষয় হল চাষের জন্য আমাদের কাছে সার নেই এবং আসছে মৌসুমে উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী পুরোপুরি ধান উৎপাদিত হবে না। অতএব, বলা যায় আগস্টের পর থেকে, শ্রীলঙ্কায় খাদ্য সঙ্কটের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি সেই সময় যখন বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দিবে। দেখার বিষয় এটা যে, আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত আমরা কীভাবে টিকে থাকি।”