১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রের ৩৮৩টি জরুরি ওষুধের মধ্যে ৯২টি বা প্রায় এক-চতুর্থাংশই বর্তমানে সরবরাহ ঘাটতিতে রয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. কেহেলিয়া রামবুকভেলা স্বয়ং এটি সংসদে স্বীকার করেছেন।
সংসদ সদস্য ডি. ওয়েরাসিংহের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী অবশ্য এটাও বলেন যে, প্রয়োজনীয় এসব ওষুধের ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি এবং এই ধরনের ওষুধগুলোর বিকল্প পাওয়া যায়। (২১ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার ইংরেজি দৈনিক ডেইলি মিরর এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেহেলিয়া জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই ওষুধের ঘাটতি মেটানো যাবে এবং তিন থেকে ছয় মাসের ওষুধ মজুদ রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমাগী জনা বালাবেগায়া (এসজেবি) দলের সংসদ সদস্য রোহিণী কুমারী কবিরত্নে উত্থাপিত অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি এবং অন্যান্য সমস্যাকে বড় করে দেখাচ্ছে মিডিয়া।
এর আগে (১৫ সেপ্টেম্বর) ডেইলি নিউজ জানিয়েছিলঃ ভবিষ্যতে দেশে ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি হ্রাস করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. কেহেলিয়া আগামী এক মাসের পরিবর্তে তিন মাসের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ অর্ডার করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, চিকিৎসাজনিত সরবরাহের ৮০ শতাংশেরও বেশি আমদানি করে থাকে সোয়া দুই কোটি জনসংখ্যার দেশ শ্রীলঙ্কা। তবে, বর্তমান তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা ফুরিয়ে গেছে। আর সে কারণেই, দেশটি অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মতো জরুরি ওষুধও আমদানি করতে পারছে না।