শ্রীলঙ্কাকে ১৩২ রানে আটকাল বাংলাদেশ

অঘোষিত ফাইনাল বলে কথা! সিরিজ জিততে হলে দারুণ কিছু করতে হবে। স্পিন মায়াজালে শ্রীলঙ্কাকে ১৩২ রানে আটকিয়ে অর্ধেক কাজটা ভালোভাবেই সেরেছে বাংলাদেশ। ট্রফি জয়ের বাকি কাজটুকু ব্যাটাররা করতে পারবেন কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়। ম্যাচ শেষ হলেই তা জানা যাবে।

সে যা-ই হোক আজ টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে কলম্বোয় দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। দুর্দান্ত শুরু এনে দেন প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে খেলার সুযোগ না পাওয়া শেখ মেহেদী। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের উইকেট উদযাপনের শুরুটা শরীফুল ইসলাম এনে দিলেও প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব শেখ মেহেদীরই। অফস্পিনারের ঘূর্ণিতেই তো লঙ্কানদের ব্যাটিং অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে।

ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে (৬) আউট করা বাঁহাতি পেসার শরীফুলের পর লঙ্কানদের টানা ৪ ‍উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী। এর মধ্যে প্রতিপক্ষের সর্বোচ্চ ৪৬ রান করা ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কাও বাংলাদেশি স্পিনারে শিকার বনেছেন। তার স্পিন মায়াজালে একটা সময় শ্রীলঙ্কার দলীয় স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৪৯ রানে ৪ উইকেট।

এমন কঠিন পরিস্থিতি থেকে পরে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে ১৩২ রানের সংগ্রহ এনে দিয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিস ও দাসুন শানাকা।

ছোট্ট দুটি ইনিংস খেলে। মেন্ডিসের ২১ রানের বিপরীতে ৩৫ রান করেছেন শানাকা। বিশেষ করে শরীফুলের করা ইনিংসের শেষ ওভারে যদি ২০ রান না নিতে শানাকা। সবমিলিয়ে ২২ রান এসেছে শেষ ওভারে। প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকাতে শেখ মেহেদীর অবদান বেশি থাকলেও তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে মিতব্যয়ী বোলিংয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেওয়া মেহেদী রান খরচ করেছেন মাত্র ১১। সঙ্গে একটা মেডেনও নিয়েছেন তিনি।

এতে ব্যক্তিগত একটা কীর্তিও গড়েছেন মেহেদী। টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন ৩০ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। তার আগের সেরা ছিল ১৩ রানে ৪ উইকেট। ২০২৪ সালে কিংসটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।