রাজধানীর পূর্বাচল এলাকার প্লট জালিয়াতির ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৬টি মামলায় চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের আওতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১০ কাঠা করে ৬টি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। সোমবার (১০ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি এবং রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকী এই ৬ জন পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর রোড থেকে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দ নিয়েছেন। এই বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর দুদক এই বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
এর আগে, গত ২২ ডিসেম্বর দুদক সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে। একই অনুসন্ধান দলের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগও তদন্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে তদন্তকারী টিম নথিপত্র সংগ্রহ করছে।
এছাড়া, আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ২০১৪ সালে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত শুরু করেছিল। তদন্তে জানা গেছে, জয় এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা পাচার হয়েছে, এবং এটি মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং অন্য প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও তদন্ত চলছে। রূপপুর প্রকল্পে ৫০০ কোটি ডলার বা ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, যা ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির মামলার অংশ হিসেবে তদন্তাধীন।
এই মামলাগুলোর ব্যাপারে দুদক এবং হাইকোর্টের নির্দেশনায় তদন্ত চলমান রয়েছে এবং শেখ হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে অন্য প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।