কম-বেশি সবাই ঘামেন। ছোট থকে প্রাপ্তবয়স্ক, সব মানুষেরই ঘামের সমস্যা রয়েছে। তবে এমনও হয়ে থাকে, কেউ কেউ অতিরিক্ত ঘামেন। যা মোটেও ভালো নয়। আর এটি যদি হয় বাড়ির কোমলমতি শিশু বা ছোট্ট সন্তানদের ক্ষেত্রে, তাহলে বিষয়টি নিয়ে সচেতন হওয়া ও চিকিৎসা নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
শিশু ঘন ঘন ঘামতে থাকলে শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। তাদের ঘর্মগ্রন্থিগুলি অপরিণত থাকে। তাই একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যেভাবে ঘামেন, সেভাবে শিশুদের ঘামার কথা নয়। শিশুর শরীরের তাপমাত্রা ত্বকের রক্তের প্রবাহের ওপর নির্ভর করে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। এ জন্য সবসময় তাদের ত্বক শুষ্ক থাকে। তবে কখনো তাদের বেশি ঘামতে দেখলে সতর্ক হতে হবে।
শিশুর বেশি বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম ইংল্যান্ডের চিকিৎসক ড. সার্মেদ মেজেরের পরামর্শ তুলে ধরেছে। এতে দেখা গেছে এই চিকিৎসক জানিয়েছেন, ঘরের উষ্ণ তাপমাত্রায় বা অতিরিক্ত পোশাক পরিয়ে রাখার কারণে শিশুর হালকা ঘাম দেখা দিতে পারে। কেননা, শিশুরা খুবই কম ঘামে। তবে আরামদায়ক পরিবেশে থাকার পরও শিশু অবিরত ঘামতে থাকলে তা বিপজ্জনক।
এ চিকিৎসক সতর্ক করে জানান, শিশুকে খাওয়ানোর সময় বা ঘুমানোর সময় ক্রমাগত ঘাম হওয়া কখনো স্বাভাবিক নয়। এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগের লক্ষণের ইঙ্গিত হতে পারে। এ ধরনের উপসর্গে অন্যান্য যেসব রোগের আশঙ্কা থাকে, সেসব তাহলে জেনে নেয়া যাক-
থাইরয়েড হরমোনের অত্যধিক ক্ষরণ থেকে শিশুর ঘাম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শিশুর হাইপারহাইড্রোসিস থাকলেও অস্বাভাবিক ঘাম হতে পারে। এক্ষেত্রে শিশুর ঘর্মগ্রন্থিগুলি অনেক বেশি সক্রিয় হয়। ফলে হাতের তালু, মাথা ও মুখ, বগল ইত্যাদি অঙ্গ অতিরিক্ত ঘামে।
শিশুর যদি জন্মগতভাবে হৃদরোগের সমস্যা থাকে, তাহলেও ঘাম বেশি হতে পারে। এতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জিনগত সমস্যা থাকলে সিস্টিক ফাইব্রোসিস রোগ হলে শিশুর ঘাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার শ্বাসযন্ত্রে কোনো ধরনের সংক্রমণ ঘটলেও শিশুর অতিরিক্ত ঘাম দেখা দিতে পারে।