পাট থেকে দৈনিক এক লাখ সোনালি ব্যাগ তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। রবিবার (২৪ নভেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংসদ সচিবালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পরিবেশবান্ধব এই সোনালি ব্যাগ উৎপাদনে গবেষণার জন্য প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মির্জা আজমের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, রণজিত কুমার রায়, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শাহীন আক্তার, আব্দুল মমিন মণ্ডল, খাদিজাতুল আনোয়ার ও তামান্না নুসরাত (বুবলী) অংশ নেন।
গত ২৯ জানুয়ারি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছিলেন, শিগগিরই সরকার পাট থেকে তৈরি সোনালি ব্যাগ বাজারজাতকরণ করবে। সোনালি ব্যাগ খুব দ্রুত বাংলাদেশকে সারাবিশ্বে ব্র্যান্ডিং করবে। সেজন্য সরকার যতো দ্রুত সম্ভব পাট থেকে তৈরি পলিথিন ব্যাগ বাজারজাতকরণে যাবে। সরকারিভাবেই সেটা করা হবে। এছাড়া পরবর্তীতে বেসরকারিভাবে সোনালি ব্যাগের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করার চিন্তা সরকারের রয়েছে।
অন্যদিকে সোনালী ব্যাগের উদ্ভাবক ও বিজেএমসির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবাবক হোসেন বলেছিলেন, এই ব্যাগ পলিথিন ব্যাগের চেয়ে দেড়গুণ বেশি শক্তিশালী। এটি পরিবেশবান্ধব। এই ব্যাগ পচনশীল। এটিতে কোনো ধরনের প্লাস্টিক নেই। তাই পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না। এটি পুনরায় ব্যবহার করা যায়, তবে পলিথিনে তা সম্ভব হয় না।