দেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বাড়ছে। অনেকেই এখন বিভিন্ন আর্থিক সেবা পেতে কম্পিউটার ও মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করছে । চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি- মে) মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে লেনদেন হয়েছিলো ১ লাখ ৩ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছর লেনদেন বেড়েছে ৮৮ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায় ।
একক মাস হিসেবেও গত মে মাসে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। মে মাসে লেনদেন হয়েছে ৪৯ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। এপ্রিল মাসে লেনদেন হয়েছিল ৪৪ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বেড়েছে ৫ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে লেনদেন হয়েছিল ২ লাখ ১ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ সমাপ্ত অর্থবছরের এই সময়ে লেনদেন বেড়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং সাধারণত অনলাইন ব্যাংকিং নামে অধিক পরিচিত। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা আর্থিক লেনদেন ও বিল পেমেন্টসহ নানা ধরনের পরিষেবা সহজেই পান। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড দুই দশক আগে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু করে। তখন থেকেই দ্রুত গতিতে এটি দেশব্যাপী বহুল প্রচলিত হতে শুরু করে।
এদিকে করোনার সময় থেকেই অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার বিপুল পরিমাণে বেড়েছিল। কারণ, এর মাধ্যমে বাইরে যাওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে গ্রাহকরা ঘরে বসে সহজেই কাজ সারতে পারেন। গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করেই আর্থিক লেনদেন করতে আগ্রহী হওয়ায় চলতি বছরের মে মাস শেষে গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৮ জনে। ২০২২ সালে একই মাসে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করা গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৫১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৪ জন।