কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না পাকিস্তানের লাহোরের বায়ুদূষণ। বাতাসের মান চরম বিপজ্জনক পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে চলমান অ্যান্টি-স্মগ বা ধোঁয়াশা বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করেছে লাহোর পুলিশ।
একই চিত্র প্রতিবেশী দেশ ভারতেও। কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় কাটেনি রাজধানী নয়াদিল্লির ধোঁয়াশা। শুক্রবার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে সুইস বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ার।
বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরে দূষণ বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। চারপাশে ধূসর ঘন ধোঁয়ায় এমনভাবে ডুবে আছে যে নির্দিষ্ট দৃষ্টিসীমার মধ্যেও সবকিছু ঠিকঠাক দেখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
বাধ্য হয়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে দেখা যায় বাসিন্দাদের। এমন পরিস্থিতির জন্য নিজেদের কর্মকাণ্ডকেই দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। শহরের এক বাসিন্দা বলছেন, ‘আমরা নিজেরাই এই সংকটের কারণ। দুঃখজনক হলো, আমরা আমাদের দেশকেই অবহেলা করছি। এতে সবচেয়ে বেশি ভুগছে আমাদের বাচ্চা আর বয়স্করা।’
এদিকে লাহোর পুলিশ তাদের চলমান অ্যান্টি-স্মগ বা ধোঁয়াশাবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করেছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন থানায় প্রায় ২০০ মামলা হয়েছে। এতে দুই শতাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকঢোল পিটিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় কাটেনি ভারতের দিল্লির ধোঁয়াশা পরিস্থিতি। স্থানীয় সময় শুক্রবার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে সুইস বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ার।
প্রতি শীত মৌসুমে রাজধানী ও আশপাশে নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো, যানবাহনের কালো ধোঁয়া আর ফসল পোড়ানোর ধোঁয়া জমে গিয়ে দূষণ চরমে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ ও কঠোর আইন প্রয়োগের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
তাদের মতে, দূষণ মোকাবিলায় পরিকল্পিত ব্যবস্থা থাকা দরকার। কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও সেগুলো কেউ মানে না, এমনকি কর্তৃপক্ষও তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে।
বায়ুদূষণের কারণে ভারতের ২ কোটি বাসিন্দার মধ্যে অনেকেই শ্বাসকষ্টসহ নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে দিন পার করছেন। দূষণরোধে সম্প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি নির্মাণ কাজ স্থগিত ও ব্যক্তিগত যান ব্যবহার সীমিত করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।