ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে মঙ্গলবার লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১৫ আগস্ট নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপনে মেতেছে ভারতীয়রা। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সেজেছে লালকেল্লা। সকালের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তায় উঠে আসে উত্তর-পূর্বের মণিপুরের পরিস্থিতি।
মণিপুর রাজ্যে সহিংস ঘটনার নীরবতায় পার্লামেন্টের বিরোধী ও নেটিজেনদের তোপের মুখে কম পড়তে হয়নি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। দাঁড় করানো হয়েছে কাঠগড়ায়। অবশেষে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে জোড়ালো বার্তা দিয়েছেন তিনি।
মোদি স্বাধীনতা দিবসে তার বক্তব্য শুরু করেন উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের সহিংসতা নিয়ে।
তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে মণিপুর সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছে। অনেক মানুষ তাদের প্রাণ হারিয়েছেন এবং আমাদের মা ও বোনেরা অসম্মানিত হয়েছেন। কিন্তু রাজ্যে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। ভারত মণিপুরের সঙ্গে আছে।
মণিপুরের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মোদি ভাষণে বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার শান্তি বজায় ও অভ্যন্তরীণ সংকট মেটাতে এক হয়ে কাজ করছে। দেশবাসী মণিপুরের পাশেই আছে। শান্তির মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজে পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, যখন আমি ঐক্যের কথা বলি… যদি মণিপুরের সহিংসতা হয়, মহারাষ্ট্রেও ব্যাথা অনুভূত হয়।
এরপর নিজের সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন তিনি। মোদি জানান, তার সরকারের প্রচেষ্টায় সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
মোদি আরও জানান, ২০৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে তখন এটি একটি উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে থাকবে।
এদিকে লালকেল্লায় মোদির আগমন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ ও পেশার কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত হন। এছাড়া সেখানে নেওয়া হয় শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গত তিন বছর লালকেল্লার অনুষ্ঠানে করোনা বিধিনিষেধ থাকলেও এবার সেগুলো তুলে নেওয়া হয়।