প্রবাসীরা লাখ টাকা পাঠালেই সরকারের পক্ষ থেকে পাবেন আরও ২ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রবাসীদের আয়ের বিপরীতে প্রণোদনা হিসাবে ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত অর্থবছর থেকে প্রবাসীরা বছরে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠান তার ওপর দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। আগামীতেও এই সুবিধা চলমান থাকবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বর্তমানে রফতানিযোগ্য বিভিন্ন পণ্যে একাধিক হারে প্রণোদনা দেওয়া হয়। এর বাইরে দ্বিতীয়বারের মতো সেবাখাত হিসেবে প্রবাসী আয়ে একই সুবিধা দেওয়া হবে। যারা বৈধ পথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাবেন, শুধু তারাই এ প্রণোদনা পাবেন।
ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে প্রবাসীদের এ সুবিধা দেওয়া হবে। সরকার আশা করছে, বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি অর্থাৎ প্রবাসীদের জন্য এ সুবিধা কার্যকর হলে দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্সের পরিমাণ আরও বাড়বে।
বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে ব্যাংকগুলোর তৎপরতা বৃদ্ধি, ব্যাংকিং চ্যানেলের সঙ্গে অবৈধ চ্যানেলে ডলারের দরে খুব একটা পার্থক্য না থাকা এবং হুন্ডি প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপসহ নানা কারণে রেমিট্যান্স বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
২০২০-২১ অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট জিডিপির ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।