যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে গত বৃহস্পতিবার নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভয়াবহ আগুনের কারণে প্রায় দুই লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছেন, যাদের অধিকাংশের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে।
দমকল কর্মীরা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে আগুন নেভাতে কারাবন্দিদের নামানো হয়েছে। এাছড়া আগুন নেভাতে ছয়টি অঙ্গরাজ্য থেকে দমকলকর্মীদের পাঠানো হচ্ছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। তবে ঝোড়ো বাতাসের গতি কমে আসায় অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা দাবানল ছড়িয়ে পড়ার গতিও কিছুটা কমাতে পেরেছেন। এর আগের দুই দিনে ঝোড়ো বাতাসের কারণে প্রচণ্ড বেগে দাবানল ছড়িয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের পশ্চিমাঞ্চলে স্যান্টা মনিকা এবং মালিবুর মধ্যবর্তী প্যালিসেইডস এলাকা এবং পূর্বে পাসাডেনার কাছে ইটন এলাকার দাবানলকে ইতিমধ্যে শহরটির ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক বলে মনে করা হচ্ছে। দাবানলে ইতিমধ্যে সেখানকার প্রায় ৩১ হাজার একর এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলস ফায়ার সার্ভিস বিভাগের প্রধান অ্যান্থনি ম্যারোনি জানিয়েছেন, পালিসেডস ও ইটঁন এলাকায় দু’টি দাবানলে বিপুল সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আগুন নেভাতে দমকলকর্মী: আগুন নেভাতে ১,৪০০ দমকলকর্মী কাজ করছেন। অত্যাধুনিক সরঞ্জাম দিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। প্যাসিফিক পলিসেডস এলাকায় জেনিফার অ্যানিস্টোন, ব্রাডলি কুপার, টম হ্যাঙ্কস, রিজ উইদারস্পুন, অ্যাডাম স্যান্ডেলর, মাইকেল কিটনসহ অনেক হলিউড তারকার বাড়ি রয়েছে