দীর্ঘ সময় পর চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় যুক্তরাজ্যের হিতথ্রো বিমানবন্দরে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অবতরণ করবে। সেখানে তিনি ভিআইপি প্রটোকল পাবেন।
সবশেষ ২০১৭ সালের জুলাইয়ে তিনি বিদেশ সফর করেছিলেন। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভোগা ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া চিকিৎসকের পরামর্শে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা করবেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বহন করার জন্য এরই মধ্যে কাতার আমিরের পক্ষ থেকে পাঠানো অত্যাধুনিক আইসিইউ সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে বহনকারী স্পেশাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিরতি শেষে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, লন্ডন ক্লিনিক বলে একটা পুরোনো ঐতিহ্যবাহী হসপিটাল আছে। সেই হসপিটালে এটি এনএইচএস-এর অধীন একটি হসপিটাল। সেখানে তাকে (খালেদা জিয়া) ভর্তি করা হবে। হিথ্রো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে উনাকে সরাসরি সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। এই হসপিটালে উনি চিকিৎসাধীন থাকবেন।
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার জানান, ১০ জানুয়ারি রাত ৮টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হবেন খালেদা জিয়া। রাত ৯টায় বিমানবন্দরে উপস্থিত ও ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করবেন।
খালেদার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুর উদ্দিন আহমদ ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।
এ ছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। দলীয় নেতাদের মধ্যে রয়েছেন তার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাসুদুর রহমান, প্রটোকল অফিসার এসএম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদার।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।