করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতি-প্রকৃতি এখনো দুর্বোধ্য। এ অবস্থায় চলমান সীমিত পর্যায়ের ‘লকডাউন’-এর সময়সীমা আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নতুন এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে আগের সব বিধি-নিষেধ বহাল থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও আরো অন্তত দুই সপ্তাহ চলমান বিধি-নিষেধ বহাল রাখার পক্ষে মত দিলেও প্রাথমিকভাবে এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এম এ ফয়েজ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সংক্রমণ তুলনামূলক কম থাকলেও আমরা এখনো ঝুঁকিমুক্ত নই। পরিস্থিতি এখনো দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই রয়েছে। তাই এখনই বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার সুযোগ নেই। বরং সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো উচিত। সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামলে মোটামুটি স্বাভাবিক হওয়ার চিন্তা করা যায়।’
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয় গত মার্চে। ৫ এপ্রিল থেকে সীমিত আকারে লকডাউন দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময়সীমায় লকডাউন চলেছে। একাধিকবার নিয়ম পাল্টানোর মাধ্যমে আজ রবিবার ৫৬ দিনের লকডাউন পূর্ণ হতে যাচ্ছে। বর্তমানে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সরকারি অফিস, সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পর্যটনকেন্দ্র, মিছিল-মিটিং ও সমাবেশ বন্ধ রয়েছে। শপিং মল, দোকানপাট খোলা আছে। অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্তে চলছে গণপরিবহন।
এ ছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকানগুলোতে আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা প্রদানের সুযোগ রাখা হয়। এগুলোর সবই এবারের লকডাউনেও বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।