র্যাব ও এর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়া পার হতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওদের একটা প্রক্রিয়া আছে। এটি আমাদের সম্পন্ন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সব কিছুরই অনেক প্রক্রিয়া আছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সংশ্লিষ্ট ওই সদস্যদের প্রতি সন্তুষ্ট হতে হবে। এতে সময় লাগবে। মোমেন বলেন, সুইচের মতো না যে এক দিনে অন আর অফ করতে পারবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া বেশ জটিল। তিনি বলেন, যেমন ট্যারিফ প্রত্যাহারের জন্য ২৩টা কমিটিতে অনুমোদন লাগে। তারপর প্রেসিডেন্ট সেটার ওপর রেসপন্স দিতে পারেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট কিছু বলতে পারেন না। এখানে এক্সিকিউটিভের যথেষ্ট আটকা, সে কারণে এটা সহজে বলতে পারবে না। আপনাকে প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে র্যাবের ভূমিকা ও অগ্রগতি তুলে ধরেন। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, র্যাব আমাদের দেশে এমন সময়ে তৈরি হয়েছিল, যখন আমাদের দেশে সন্ত্রাস, জিহাদি- এগুলোর উৎপাত খুব বেশি ছিল।
মন্ত্রী বলেন, এক দিনে ৪৯৫টা বোমাবাজি হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়, যার ফলে ২৪ জন লোক মারা যায়, ৩৭০ জন আহত হয়। সারা দেশে মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক ছিল, ওই সময়ে তৈরি হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র্যাব হয়তো কখনো কখনো ‘অতিরিক্ত বা বেশি কিছু করে’ ফেলেছে। তবে ইনবিল্ট সিস্টেম আছে জবাবদিহিতার এবং অনেকের শাস্তি হয়েছে। এমনকি লাইফ এক্সিকিউশনও হয়েছে। সুতরাং এখানে জবাবদিহিতা আছে।
মন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি, আপনাদের রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টিই (জেমস এফ মরিয়ার্টি) বলেছিলেন, র্যাব ইজ দ্য এফবিআই অব বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটির ওপরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় আমার তরুণরা ওখানে কাজ করায় নিরুৎসাহিত হবে। আমি খুব খুশি হবো, আপনি যদি এটা পুনর্বিবেচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন জবাবে কী বলেছেন জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, উনি বললেন যে এটার প্রসেস আছে, সেই প্রসেসে হবে। তবে আমাদের জবাবদিহিতা দরকার। আমরা এ ব্যাপারে বেশ সোচ্চার।
মোমেন বলেন, আমি বললাম, আমরা সব ধরনের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি। তখন বললেন যে গত চার মাসে কেউ মারা যায়নি। আর ডিএসএ-তেও আমাদের ট্র্যাক রেকর্ড গুড। গত চার মাসে একজনও অ্যারেস্ট হয়নি। উনি বললেন, এটা ভালো।