সাগরপথে মালয়েশিয়ায় ঢুকতে চাওয়া আড়াই শতাধিক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠানোর কথা জানিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তবে এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গারা আমাদের নাগরিক নয়, এ কারণে আমাদের বাধ্যবাধকতা নাই। তারা যেখানে আছে, সেখানকার সরকার যা ইচ্ছা করুক।’
আজ মঙ্গলবার মালয়েশিয়ান মন্ত্রীর বক্তব্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে তা নিয়ে ক্লাইমেট ভালনারেবিলিটি ফোরামের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
গতকাল সোমবার মালয়েশিয়ার লঙ্কাভি উপকূলের কাছে সমুদ্রসীমায় ঢুকে পড়া একটি নৌকায় ২৬৯ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে দেশটির যৌথ টাস্কফোর্স। আজ মঙ্গলবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, চলতি সপ্তাহে আমাদের জলসীমায় আটক ৩০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানাবে মালয়েশিয়া।
মালয়েশিয়ান গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাহিনীর একটি জাহাজ অবৈধ অভিবাসীদের দিকে এগোলে তাদের মধ্য থেকে ৫৩ জন পানিতে ঝাঁপ দেয় এবং সাঁতরে উপকূলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় উপকূলে থাকা এমএমইএ সদস্যরা তাদের আটক করে। এরপর ওই নৌকাকে অনুসরণ করে আরও ২১৬ জনের সন্ধান পাওয়া যায়। এসময় এক নারীর মরদেহও উদ্ধার করা হয়।
মালয়েশিয়ান টাস্কফোর্সের বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম দ্য স্টারের খবরে বলা হয়েছে, আটক ওই ২৬৯ জন রোহিঙ্গাকে লঙ্কাভি এলাকার একটি বন্দিশিবিরে রাখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মালয়েশিয়ান মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি। তিনি বলেন, ‘তাদেরকে (আটক রোহিঙ্গ) বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেন এটা না ভাবে যে, এখানে পালিয়ে আসলেই তাদের রেখে দেওয়া হবে।’
রোহিঙ্গাদের কোনোভাবে রাখা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই শরণার্থীদের কক্সবাজারে কিংবা ভাসানচরে পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’
তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আমরা আগে থেকে বলে আসছি, যারা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে ভাবেন এবং তাদের ভালো রাখতে চান তারা এদের নিতে পারেন। যারা সেসব দেশে গিয়ে ওই দেশের সদস্য হিসেবে অবদান রাখতে পারে।’