যেকোনো ইবাদতের জন্য নিয়ত করা জরুরি। নিয়ত ছাড়া কোনো ইবাদত কবুল করবেন না আল্লাহ তায়ালা। এক হাদিসে রাসূল সা. বলেছেন, প্রত্যেক আমল নিয়েতের ওপর নির্ভর করে। অন্য সব ইবাদতের মতো রমজান মাসে রোজা রাখার জন্য নিয়ত করতে হবে।
আমাদের দেশে রোজা রাখার জন্য আরবিতে একটি দোয়া পড়া হয়। অনেকে মনে করেন এই দোয়াটি না পড়লে রোজার নিয়ত হবে না। তবে আলেমদের মতে, বাংলায় মনে মনে নিয়ত করলেই হয়ে যাবে। আবার অনেকের মতে রোজা রাখার জন্য শেষ রাতে সাহরি খেতে উঠা এবং সাহরি খাওয়ার মাধ্যমেই রোজার নিয়ত হয়ে যায়।
কেউ যদি সেহরির সময় রোজার নিয়ত করতে ভুলে যায়, তাহলে তিনি কতক্ষণ পর্যন্ত রোজার নিয়ত করতে পারবেন।
এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো—
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখার সময়সীমা। ফরজ রোজার নিয়ত করার সময়সীমা হল, দিনের মধ্যভাগ পর্যন্ত। অর্থাৎ দিনের মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত নিয়ত করলে তা শুদ্ধ হবে।
আলেমরা বলেন, আরবি দিনের সূচনা হয় সুবহে সাদিক থেকে। তাই সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যতটুকু সময় হয়, এর মাঝামাঝি সময়ের আগে রোজার নিয়ত করলেই রোযা রাখা শুদ্ধ হবে।
যেমন যদি সাহরির সময় তথা সুবহে সাদিক শুরু হয় ৫টায়। আর সূর্যাস্ত হয় সন্ধ্যা ৭টায়। তাহলে একদিন হবে ১৪ঘণ্টায়।
তাই সুবহে সাদিক থেকে ৭ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার আগে রোজার নিয়ত করতে হবে। কেউ সুবহে সাদিকের সময় রোজার নিয়ত করতে ভুলে গেলে এই সময়ের আগে নিয়ত করলে রোজা রাখা শুদ্ধ হয়ে যাবে।
অর্থাৎ, এই হিসাব মতে দুপুর ১২টার আগে রোজার নিয়ত করলে সেদিনের রোজা রাখা শুদ্ধ হবে। যদি এর পর নিয়ত করে তাহলে শুদ্ধ হবে না। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/১৯৫)