সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ডিঙিয়ে প্রবাসী আয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের মার্চে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা। এই মাসে প্রবাসীরা ৩০ কোটি ৮৮ লাখ (৩০৮.৮২ মিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দেশটি থেকে একক মাসে অতীতে এতো পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, মার্চ মাসে রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষে থাকা সৌদি আরর থেকে এসেছে ৩৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। দ্বিতীয়তে থাকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসী আয় হয়েছে ৩০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। যুক্তরাজ্যের থেকে এসেছে ২১ কোটি ৪১ লাখ ডলার। আরব আমিরাত থেকে পাঠিয়েছে ১৮ কোট ৪১ লাখ ডলার।
এছাড়া মার্চে কুয়েত থেকে এসেছে ১৪ কোটি ৪৪ লাখ ডলার, কাতার ১১ কোটি ৯৫ লাখ, ইতালি ৮ কোটি ৫৪ লাখ, মালয়েশিয়ার থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৮ কোটি ১৪ লাখ, ওমান থেকে পাঠিয়েছেন ৭ কোটি ৪৩ লাখ এবং বাহরাইন থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১৮৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা আগের মাসের চেয়ে ২৪ শতাংশ বা ৩৬ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বেশি। গত ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৯ কোটি ডলার। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে রেমিট্যান্স বাড়লেও গত বছরের একই সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে তা কমেছে। মার্চ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ১৮৫ কোটি ৯৯ লাখ (১.৮৬ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রবাসী আয়ের এ অংক আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৩ শতাংশ কম। গত বছরের মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ৯ লাখ ডলার।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯ মাসে (জুলাই-মার্চে) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৫২৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ২০ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ ৩১ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা)। এ অংক আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩০ কোটি বা প্রায় ১৮ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৮৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার।
গত ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন ছিল। ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের ১২ মাসের মধ্যে সাত মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।