নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কম্পানির সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় কম্পানির চেয়ারম্যান আবুল হাসেম ও তাঁর ছেলে সজিবসহ আটজনকে আটক করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, শনিবার (১০ জুলাই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আটজনকে আটকের কথা জানান তিনিও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরিতে (সেজান জুসের কারখানা) লাগা আগুনের ঘটনায় চেয়ারম্যান-এমডিসহ আটজনকে আটক করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতার কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের মালিকানাধীন হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ছয়তলা কারখানা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গতকাল সন্ধ্যার ৭টার দিকে যখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ততক্ষণে কেটে যায় ২৬ ঘণ্টা। তখনো পাঁচ ও ছয়তলায় তল্লাশি চালানো বাকি ছিল। আগুন লাগার পরপর ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ হারান তিন শ্রমিক। সব মিলে এ পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ৫৩ জনের।
কারখানাটির ছয় হাজার কর্মীর মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রায় ৪০০ শ্রমিক ওভারটাইম (অতিরিক্ত সময়) কাজ করছিলেন বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে শ্রমিকদের দাবি, সহস্রাধিক শ্রমিক কাজ করছিলেন। আগুন লাগার পর সেখানে আটকা পড়ে শতাধিক। নিরাপদে বের হওয়ার আকুতি জানাতে একদল শ্রমিক চার তলায় কর্মকর্তাদের কাছে যান। সেখানে আটকা পড়েই ওই শ্রমিকদের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।