ইউক্রেনের বন্দর শহর ওডেসাতে বেসামরিক অবকাঠামোতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ জনে এবং আহত হয়েছে কমপক্ষে ৭৫ জন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী বন্দর নগরীর বেসামরিক অবকাঠামোয় আঘাত হানলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে ওডেসায়।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, এই সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা চালিয়ে মস্কো।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এই শহরে প্রায় প্রতিদিনই নিষ্ঠুর ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চালিয়েছে রাশিয়া। এর ন্যায্য জবাব ইউক্রেনের বাহিনীর কাছ থেকে পাবে রাশিয়া।
এদিন সাময়িক বিরতি দিয়ে দুই দফা হামলা করা হয়। ওডেসার জরুরি পরিষেবা সংস্থার মুখপাত্র মেরিনা আভেরিনা বলেন, ‘ওডেসায় এই প্রথম দুবার হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
দেশটির আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ কিপার শুক্রবার জাতীয় টেলিভিশনে বলেছেন, রাশিয়া-অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে ছোড়া দুটি ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ শহরের বেসামরিক অবকাঠামো এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তিনি আরো বলেন, হামলার ফলে সেখানে কিছু বাসিন্দাদের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
কিপার আরো বলেন, “বিস্ফোরণটি খুব শক্তিশালী ছিল, বিশেষ করে দ্বিতীয়টি … এটি খুব শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র, যা কয়েক মিনিটের মধ্যে অধিকৃত ক্রিমিয়া থেকে উড়ে আসে।” প্রথম আক্রমণে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একজন চিকিৎসক ও উদ্ধারকারী নিহত হন।
কিপার বরেছেন, ‘দশ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।’
এদিকে জেলেনস্কি টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘রাশিয়ান খুনিরা যাতে আমাদের ন্যায্য জবাব পায় এজন্য আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী অবশ্যই সব কিছু নিশ্চিত করবে।’ এদিকে গত ২ মার্চ ওডেসায় একটি আবাসিক ভবনে ড্রোন হামলায় পাঁচ শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছিল। ওডেসা ইউক্রেনের বৃহত্তম বন্দরগুলোর মধ্যে একটি। দীর্ঘদিন ধরে রুশ আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে শহরটি।
রাশিয়া জুড়ে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উত্তেজনা তুঙ্গে ওই সময় ওডেসায় এ হামলার ঘটনা ঘটল। এতে পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সূত্র: আলজাজিরা