রাস্তার মাঝে টায়ার পাংচার হলে করণীয় কী?

প্রাইভেট কারের চালক ও মালিকের উদ্বেগের অন্যতম কারণ হল ফ্ল্যাট টায়ার। কিন্তু রাস্তায় বেরিয়ে আশপাশে কোনও টায়ার রিপেয়ারের দোকান না থাকলে রীতিমতো বিপদে পড়তে হয়। তার ওপর যদি গাড়িতে থাকা স্পেয়ার টায়ারও খারাপ থাকে, তাহলে তো বিড়ম্বনার শেষ থাকে না। তীক্ষ্ণ কোনও বস্তু কিংবা কাঁচের টুকরো যেকোনও গাড়ির টায়ারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে দিতে পারে। আর টায়ার পাংচার হলে তা ভীষণই বিপজ্জনক।

এই পরিস্থিতিতে টায়ার পাংচার হলে একটি গ্যারেজ খুঁজে বের করতে হবে কিংবা একজন টায়ার রিপেয়ার মেকানিককে খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু সব সময় তা পাওয়া যায় না। তাই গাড়ির চালকেরই কিছু প্রাথমিক বিষয় শিখে রাখা উচিত। যাতে রাস্তায় বেরিয়ে বিপাকে না পড়তে হয়।

প্রথমত গাড়ি নিয়ে বাইরে বের হলে গাড়ির মধ্যে সব সময় একটি টায়ার পাংচার রিপেয়ার কিট রাখা উচিত। এর মাধ্যমে গাড়ির টায়ার সারিয়ে নেওয়া সম্ভব। এর পাশাপাশি সব সময় হাতের কাছে রাখতে হবে কার ইনস্যুরেন্স পলিসিটাও।

গাড়ির পাংচার হওয়া টায়ার মেরামত করার উপায়

লিক আছে কি না, সেটা পরীক্ষা

একবার টায়ার পাংচার হলে টায়ার সঠিকভাবে পরীক্ষা করতে হবে। লিক আছে কি না, দেখে নিতে হবে। যদি কোনও লিকিং স্পট দেখা না যায়, তাহলে সঠিক প্রেশার লেভেলে টায়ারকে ইনফ্লেট করার চেষ্টা করতে হবে। কোনও হিসিং সাউন্ড আসছে কি না, লক্ষ্য করতে হবে। এভাবেই পাংচার হওয়া জায়গাটি খুঁজে বার করা সম্ভব। এতে কিছু না হলে জলের মধ্যে সাবান মিশিয়ে সেই মিশ্রণ টায়ারের উপর স্প্রে অথবা ব্রাশ করতে হবে। লিকিং স্পট থাকলে সেখান থেকে বাবল বা বুদবুদ বের হবে। টেপের মাধ্যমে সেই অংশটিকে চিহ্নিত করতে হবে।

লাগ নাট আলগা করা

টায়ারের লিকিং স্পট চিহ্নিত করার পর টায়ার রিমুভ করার জন্য চাকায় থাকা লাগ নাট আলগা করতে হবে। এরপর চাকা থেকে টায়ার বার করার জন্য গাড়িটিকে জ্যাক-আপ করতে হবে। আর সমান কংক্রিট সারফেসে এটা করতে হবে। গাড়ি যাতে গড়িয়ে না যায়, তার জন্য ইট অথবা ব্লকার ব্যবহার করতে হবে।

পাংচার হওয়া স্পট পরিষ্কার

হুইলবেস থেকে চাকা খোলার জন্য লাগ নাট সম্পূর্ণ রূপে রিমুভ করতে হবে। এরপর লিকিং স্পট পরিষ্কার করতে হবে।

প্লাগ ইনসার্ট করা

টায়ার পাংচার রিপেয়ার কিটে থাকা প্লাগ নিয়ে তা গর্তে প্রবেশ করানোর জন্য ইনসারশন টুলের মাঝামাঝি প্লাগটিকে রাখতে হবে। গ্লু অথবা রাবার সিমেন্টের মতো পদার্থ দিয়ে প্লাগ লুব্রিকেট করতে হবে। যাতে তা সহজেই গর্তে প্রবেশ করানো যায়। কিছু সময়ের জন্য প্লাগটিকে ওভাবেই রাখতে হবে।

একবার সমস্ত কিছু সম্পন্ন হলে এয়ার প্রেশার বুঝে ওইএম-এর সাহায্যে টায়ার ইনফ্লেট করতে হবে। পাংচার হওয়া জায়গা থেকে কোনও হিসিং সাউন্ড আসছে কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে। এবার চাকাটিকে রি-ইনস্টল করতে হবে। ফ্লোর জ্যাক রিমুভ করতে হবে। এবার লাগ নাটস লাগিয়ে টাইট করতে হবে।