রাশিয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: নিহত অন্তত ১৩

রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিশুসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে। দেশটির ইয়েস্ক শহরের উপরে প্রশিক্ষণ চালানোর সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শহরটি ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত থেকে বেশ কাছে হওয়ায় প্রথমে একে ইউক্রেনের হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মূলত উড্ডয়নের সময় ইঞ্জিনে আগুন ধরে গেলেই বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, সোমবারের ওই ঘটনায় নিহতের মধ্যে তিন শিশু রয়েছে। একটি নয় তালা ভবনের উপরে বিমানটি আছড়ে পড়লে সেখানে বড় বিস্ফোরণ দেখা যায়। পরে উদ্ধারকারীরা ১৩টি মরদেহ বের করে আনেন আংশিক ধসে পড়া ভবনটি থেকে। এই ঘটনায় আরও ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দক্ষিণ ইউক্রেনের রুশ-অধিকৃত অঞ্চলের বিপরীতে অবস্থিত ইয়েস্ক আজভ সাগর দ্বারা বিচ্ছিন্ন। শহরটি রাশিয়ার নৌ বিমান চলাচলের জন্য একটি প্রধান প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে।

সু-৩৪ যুদ্ধবিমানের দুই পাইলট ইজেক্ট করতে সক্ষম হলেও বিমানটিকে ক্রাসের হাত থেকে বাঁচাতে পারেননি তারা। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পাইলটদের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানটি উড্ডয়নের সময় একটি ইঞ্জিনে আগুন লেগে যাওয়ার কারণে এটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

এক পর্যায়ে সু-৩৪ বিমানটি একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের উঠানে ভূপাতিত হয় এবং বিমানের জ্বালানিতে আগুন ধরে যায়।
রুশ ভাষায় লেখা টেলিগ্রাম অ্যাপে এক পোস্টে ক্রাসনোদর অঞ্চলের গভর্নর লিখেছেন যে তিনি ইয়েস্ক শহরের দিকে যাচ্ছেন এবং সমস্ত আঞ্চলিক এবং স্থানীয় দমকল কর্মীরা এই আগুনের সাথে লড়াই করছে। ইয়েস্ক ক্রাসনোদর অঞ্চলটির অংশ। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, বহুতল ভবনের পাঁচটি তলা আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। ইয়েস্কের একজন স্থানীয় সংবাদদাতা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল রসিয়া টুয়েন্টি ফোরকে জানিয়েছেন যে ভবনের দুটি ব্লকে আগুন লেগেছে।

রাশিয়ার ভেস্টি ডট আরইউ ওয়েবসাইট অনুসারে, ভবনটির কাছাকাছি একটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সফলভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্রেমলিন থেকে দেশটির জাতীয় এবং আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষকে ইয়েস্কের কেন্দ্রে এই অগ্নিকাণ্ডের শিকারদের জন্য ‘প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তার’ নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের একটি সংকটকেন্দ্র সমন্বয়ের জন্য সেখানে পাঠানো হয়েছে। এরইমধ্যে এ নিয়ে একটি তদন্ত শুরু করেছে রাশিয়া।

Comments (0)
Add Comment