ইউক্রেনে প্রায় ৯০ টন প্রাণঘাতী অস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখনই অস্ত্রের প্রথম চালান পাঠানো হলো। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেনের জন্য বিশাল সামরিক সহায়তার বিলটি অনুমোদিত হয়। রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসন প্রতিহত করতে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সামনের সাড়ির যোদ্ধারা এই অস্ত্র ব্যবহার করবে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ১ লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। পশ্চিমা দেশগুলো আশঙ্কা করছে যে, রাশিয়া যে কোনো সময় ইউক্রেনে অভিযান চালাতে পারে। তাই ইউক্রেনকে সহায়তায় এই বিশাল অস্ত্র সাহায্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ইউক্রেন সফর করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
এর পরপরই এই অস্ত্র এসে পৌছালো দেশটিতে। ব্লিনকেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া কোনো ধরণের অভিযান চালালে তার ভয়াবহতম জবাব দেয়া হবে। যদিও রাশিয়া প্রথম থেকেই ইউক্রেনে হামলা করার পরিকল্পনার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
গত ডিসেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেন। কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ইউক্রেনের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অস্ত্রের এই চালান তারই বাস্তবায়ন। সামনের দিনগুলোতেও ইউক্রেনের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাশিয়ার যে কোনো আগ্রাসন মোকাবেলায় সহায়তা দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্র সাহায্য পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ।