রাজধানীতে তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে নগরবাসী

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। বুধবার (৬ আগস্ট) সায়েন্স ল্যাব, নয়াপল্টন, বাড্ডা ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে, যার ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধসহ বেশ কয়েকটি বিষয় এই যানজটের কারণ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘আজ সায়েন্স ল্যাবে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেন। পল্টনে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি আছে। ছুটির পরদিন হওয়ায় যানবাহনের চাপও বেশি ছিল। এর সঙ্গে সড়কের খানাখন্দ যুক্ত হয়ে যানজটের পরিস্থিতি আরো জটিল করে তোলে।’

সায়েন্স ল্যাব মোড়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা দুপুর পৌনে ১টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপ ও সংবাদ ব্রিফিংয়ের পর শিক্ষার্থীরা আধঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন।
এ ছাড়া পল্টন এলাকায় বিএনপির ‘বিজয় র‍্যালি’ ঘিরে র‍্যালিপূর্ব সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই যানজটে থেমে যায় যান চলাচল। নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিকাল ৩টার আগে থেকেই। ফলে আশপাশের এলাকা, বিশেষ করে কাকরাইল, প্রেস ক্লাব, বিজয়নগর, ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে, বাড্ডা এলাকাতেও তৈরি হয় তীব্র যানজট। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত পাঠানোর দাবিতে ‘ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাগপার নেতাকর্মীরা বাড্ডা সড়ক অবরোধ করেন। এর ফলে বাড্ডা, বাড্ডা কাঁচাবাজার, হোসেন মার্কেট, মেরুল বাড্ডা ও রামপুরা এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়।

নগরজুড়ে এই যানজটের কারণে কর্মজীবী মানুষ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের চলাচল চরমভাবে বিঘ্নিত হয়।