গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা সহিংসতা ও গণহত্যা থামাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সইয়ের পরও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর রয়টার্সের।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) চুক্তি ঘোষণার পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৭৭ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ২৩ জন শিশু ও ২৬ জন নারী রয়েছেন। হামলায় আহতের সংখ্যা ২৩৪ ছাড়িয়ে গেছে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে আগামী রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে। এর আগে ইসরায়েল যতটুকু সম্ভব যুদ্ধাপরাধ করে যেতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন গাজায় কর্মরত অন্যতম এনজিও অ্যাকশন ফর হিউম্যানিটির সিইও ওথমান মোকবেল।
ওথমান মোকবেল আল জাজিরাকে বলেন, ইসরায়েলকে যতটুকু সম্ভব যুদ্ধাপরাধ করে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত না। এই আগ্রাসন বন্ধে এখনই ইসরায়েলকে চাপ দিতে হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। এর অধীনে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস।
প্রথম ধাপের ১৬তম দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। সেখানে বাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
তৃতীয় ধাপে নিহত জিম্মিদের মরদেহ ইসরায়েলের কাছে ফেরত দেওয়া এবং গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরুর কথা রয়েছে। এই কাজ মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।।