ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অভিমত বা পরামর্শ শুনবে ইসরায়েল। তবে এ ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারাই নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইরান ইস্যুতে ইসরায়েলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি।
বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমরা (ইরান ইস্যুতে) যুক্তরাষ্ট্রের মতামত শুনব, তবে এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরাই নেবো এবং সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে ইসরায়েলের জাতীয় স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে।’
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার পাশাপাশি সম্প্রতি লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলেও অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। লেবাননে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য সশস্ত্র ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে নিষ্ক্রিয় করা। এই গোষ্ঠীটির সদর দপ্তর থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সব সামরিক স্থাপনা দক্ষিণ লেবাননে অবস্থিত। আবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পাশে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত।
১ অক্টোবর রাতজুড়ে ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র অবশ্য আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে আইডিএফ।
৩ অক্টোবর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান কাতারের রাজধানী দোহায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন, ইসরায়েল যদি গাজা এবং লেবাননে অভিযান বন্ধ না করে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েলে ফের হামলা চালানো হবে।
তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল তার নিজের ভৌগলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে শিগগিরই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেবে। নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যের পরই ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ বাঁধার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য পরোক্ষভাবে ইরানে হামলা না চালানোর জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন যে ইরানের তেলক্ষেত্রগুলোতে যেন হামলা না চালানো হয়।
মঙ্গলবারের বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরানে হামলা চালায়, সেক্ষেত্রে শুধু দেশটির সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।