জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ইসলামী দলগুলো কারও ওপরে জুলুম করে না। চাঁদাবাজি করে না। দখলবাজি করে না। কারণ তারা কোরআনকে সম্মান করেন এবং বুকে ধারণ করেন। একমাত্র কারণ তারা আল্লাহকে ভয় করেন।
যাদের অন্তরে আল্লাহ ভয় আছে। তারা মানুষের ওপরে জুলুম করতে পারে না। তারা মানুষকে ভালোবাসে, তারা মানুষকে শ্রদ্ধা করে। মানুষটির পেশা কী? শিক্ষা কি? তার গোষ্ঠী কি? এ গুলো দেখেন না, দেখেন তিনি আল্লাহ সৃষ্টি আশরাফুল মাখলুক।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টাকার দিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর শাখার উদ্যোগে আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত গণ-জমায়েতে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময় শফিকুর রহমান বলেন, যারা কুরআনকে সহ্য করতে চান না। তাদের বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই এ দেশের আপামর জনতা বাঁচতে চায় কুরআন বুকে নিয়ে। মরতে চায় কুরআন বুকে নিয়ে। আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চান কুরআন বুকে নিয়ে। কুরআনকে আমাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না ইনশাআল্লাহ।
যুবকদের উদ্দেশ্য করে জামায়াতের আমির বলেন, হে যুবকেরা তোমরা তৈরি হও। ইনশাল্লাহ তোমরা পারবা। আলহামদুলিল্লাহ, তোমাদের ঐক্য ইস্পাতের মতন। বুকে আলিঙ্গন করে রাখব তোমাদের।
দলীয় সহকর্মী ও দেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে জামায়াতের আমির আবেগ-উদ্বেগ বহিঃপ্রকাশ করে বলেন, ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুর জুলুমের শিকার মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম সাহেব এখনও বন্দী রয়েছেন। একে একে সব জাতীয় নেতৃবৃন্দ মুক্তি পেলেও তিনি বৈষম্য ও জুলুমের শিকার হয়ে বন্দী জীবনের কঠিন বোঝা বহন করে চলেছেন। তাকে কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না। আমরা সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি।
এই জুলুমের প্রতিবাদে এবং এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আমি নিজে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির থাকব। আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সময়মতো আমাকে যথাস্থানে পাবে, ইনশাআল্লাহ।’ এটিএম আজহারুল ভাইর মুক্তির একদিন পর আমি বের হব।
জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্মীপুর শাখার আমির মাস্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে গণ-জমায়েতে বক্তব্য দেন, শীর্ষ নেতা মাওলানা এটিএম মাসুম, কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, শাহাজাহান চৌধুরী, ডা. রেজাউল করিম, লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট নজির আহমেদ, এ আর হাফিজ উল্যাহ, সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নুরনবী ও সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবীর মুরাদসহ প্রমুখ।