যশোরে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রদলের ৪ নেতাকর্মী

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদলের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আটক চারজন হলেন ঝিকরগাছার গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন (বাপ্পী) ও দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, তাদের দুই সহযোগী জাবেদ হোসেন ও আমিনুর রহমান।

গদখালী বাজারে আমিনুরের ফুলের দোকান আছে। তারা সবাই ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন। তাদের সবার বাড়ি গদখালী গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৬ মার্চ) বিকালে গদখালী বাজারে আমিনুরের দোকানে ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী ফুল কিনতে যান। এ সময় আমিনুর মিথ্যা তথ্য দিয়ে মেয়েটিকে নাটুয়াপাড়া গ্রামে জাবেদের লিচুবাগানে নিয়ে যান। সেখানে আমিনুল, জাবেদের সঙ্গে আবদুল্লাহ ও ইয়াসিন যোগ দেন। পরে চারজনে মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুলুর রহমান খান ও তার দল ঘটনাস্থল থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে রাতেই অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য, ওই তরুণী বেনাপোলে তার এক স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে গদখালী বাজারে নামেন। এরপর গদখালী বাজারের ফুলের দোকানি আমিনুর রহমানের দোকানে গেলে তার চার বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। এ সময় তারা তরুণীকে গদখালী এলাকায় ফুলবাগান দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে পটুয়াপাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেনের লিচুবাগানে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নিশাত আল নাহিয়ান জানান, গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম রানা জানান, অভিযুক্তদেরকে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংগঠন কোনো ব্যক্তির দায় নেবে না। ছাত্রদলে অপরাধীদের কোনো স্থান নেই।

Comments (0)
Add Comment