বহু প্রতীক্ষিত যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন, হুইসেল বাজিয়ে ছুটল উদ্বোধনী ট্রেন

বহু প্রতীক্ষিত যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত যমুনা রেল সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সেতুর পূর্ব প্রান্তের ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এরপর হুইসেল বাজিয়ে অতিথি, যাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বেলা ১২টা ৬ মিনিটে উদ্বোধনী ট্রেনের হুইসেল দেওয়া হয়।

এরপর বেলা ১২টা ৯ মিনিটে ট্রেনটি সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তের সয়দাবাদ রেল স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা করে। পরে বেলা ১২টা ১৯ মিনিটের দিকে সায়দাবাদ রেলস্টেশনে পৌঁছে ট্রেনটি।

এই উদ্বোধনী ট্রেনটিতে দুই পাশে ২টি লোকোমেটিভ ইঞ্জিল, ৬টা কোচের মধ্যে ২টা এসি চেয়ার, ১টি শোভন কোচ, ১টি ডাইনিং কার, ১টি পাওয়ার কার রয়েছে।

এর আগে সকালে উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতার শুরু হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে সেতু উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. সাইদা শিনিচি, দক্ষিণ এশিয়া বিভাগ (জাইয়া) মহাপরিচালক মি. ইতো তেরুয়ুকি।

চার দশমিক আট কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের সেতুটি চালুর ফলে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগে সময় কমে আসবে।

রেল সূত্র জানায়, উদ্বোধনের একদিন পর অর্থাৎ পরদিন ১৯ মার্চ থেকে বাড়তি ভাড়া (রেলের ভাষায় পন্টেজ চার্জ) কার্যকর করা হবে। এই সেতু ব্যবহার করে চলা ট্রেনের আসনভেদে ভাড়া বাড়বে ৪৫ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।

নতুন সেতু দিয়ে যমুনা পার হতে সময় লাগবে দুই-তিন মিনিট। আগে যমুনা সড়কসেতু পার হতে ট্রেনের সময় লাগত ২০ থেকে ২৫ মিনিট। নতুন সেতু দিয়ে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি যাতায়াতের সময় কমবে।