স্ট্যান্ডার্ড ও এনআরবি গ্লোবালের পর এবার ইসলামী ধারার ব্যাংকে রূপান্তর হলো যমুনা ব্যাংক লিমিটেড। বেসরকারি ব্যাংকটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এ অনুমোদন দিয়েছে। একই সঙ্গে দেশে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নতুন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এছাড়া প্রস্তাবিত সিটিজেন ব্যাংক লিমিটেডের অনুকূলে ইস্যুকৃত লেটার অব ইনটেন্টের (এলওই) শর্ত পূরণের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। পর্ষদের সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের ৪০৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় যমুনা ব্যাংক লিমিটেডকে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ধারার ব্যাংকে রূপান্তরের অনুমোদন দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্ষদের সর্বশেষ সভায়ও (৪০২তম সভা) সাধারণ ধারার দুটি ব্যাংককে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ধারায় রূপান্তর করা হয়েছিল। ব্যাংক দুটি হলো স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেড।
এর মধ্যে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তরের অনুমোদন দেয়া হয়। বর্তমানে দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে পূর্ণাঙ্গ ধারার আটটি ইসলামী ব্যাংক। নতুন করে স্ট্যান্ডার্ড, গ্লোবাল ইসলামী ও যমুনা ব্যাংক যুক্ত হওয়ায় এ সংখ্যা দাঁড়াল ১১।
সাধারণ ধারার ব্যাংকের তুলনায় বাড়তি কিছু নীতিসহায়তা পাওয়ার কারণেই এ ব্যাংকগুলো ইসলামী ধারায় ঝুঁকছে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন। এর মধ্যে শতভাগ সুদমুক্ত আমানত সংগ্রহের সুযোগ, ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ ও আমানতের অনুপাতের (আইডি রেশিও) সুবিধা গ্রহণ অন্যতম।
এদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্দশার মধ্যেই ‘স্ট্র্যাটেজিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড’ নামের নতুন একটি এনবিএফআইয়ের লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ প্রতিষ্ঠান যুক্ত হলে দেশে এনবিএফআইয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৫।