ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘নরেদ্র মোদির হাতে বারবার মুসলমানদের রক্তের দাগ লেগেছে। তার প্রশ্রয়ে দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক উন্মাদনায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত গণহত্যা চালানো হয়েছে। এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে স্বাধীনতার মাসে মুজিব বর্ষে আমন্ত্রণ জানানো একদিকে যেমন মুজিব বর্ষকে কলঙ্কিত করা হবে, অন্যদিকে স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে গোটা জাতিকে অপমান করা হবে। বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। আমরা তার আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই।’
বুধবার বিকালে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতে মুসলিম নির্যাতন, গণহত্যা, পবিত্র মসজিদে অগ্নিসংযোগ এবং নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। পরে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ বের হয়।
চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা মুজিব বর্ষের বিরোধিতা করছি না। আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, ব্যক্তি নরেদ্র মোদির বিরোধিতা করছি।’
রেজাউল করিম বলেন, ‘ভারতে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলমানদের নির্মূল করার অপচেষ্টা চলছে। সিএএ, এনআরসি এসবের মূল উদ্দেশ্য ভারতকে মুসলিম শূন্য করা। ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদার ভারত একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকে যেভাবে গণহত্যা চালিয়ে মুসলমানদের নির্মূল করতে চায়, তা আমাদেরকে হালাকুখান, চেঙ্গিস খান ও হিটলারের নৃশংসতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বিজেপি ভারতকে দ্বিতীয় স্পেন বানাতে চায়। তাদের মনে রাখা উচিত, ইংরেজদের দুইশ বছরের সর্বগ্রাসী নির্যাতন সত্ত্বেও ভারত থেকে মুসলমানদের নির্মূল করা যায়নি। বরং তারাই বিতাড়িত হয়েছে।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘ইসলাম সম্প্রদায় সম্প্রীতির ধর্ম দিল্লির এই উন্মত্ততার মাঝেও মুসলমানেরা হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিয়েছে। এর চেয়ে সম্প্রদায় সম্প্রীতির নজির আর কী হতে পারে!’
তিনি ভারতের মুসলিম নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিকারে জাতিসংঘ, ওআইসি ও মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক মহলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।