বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
রোববার ঢাকায় নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের একথা জানান। খবর ইউএনবির
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাকে (নরেন্দ্র মোদি) আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং তাদের সম্মতি আছে।’
আগামী ১৬ বা ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল বৈঠক হবে।
‘আমাদের বিজয় ভারতেরও বিজয়। আমাদের একসাথে উদযাপন করা উচিত, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে, দোরাইস্বামী আশ্বস্ত করেছিলেন ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ভার্চুয়াল সম্মেলনকে মোদির ব্যক্তিগত সফরের বিকল্প হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে না। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলমের সাথে বৈঠককালে তিনি বলেছিলেন, বরং এটা একটি পরিপূরক সম্মেলন হবে।
ড. মোমেন বলেন, তাদের মধ্যে খুব ভাল বৈঠক হয়েছে এবং ভারতীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশের সংবেদনশীলতা ও সমস্যাগুলো সম্পর্কে জানেন। উভয়পক্ষই লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় থাকা প্রকল্পগুলোর সুষ্ঠু বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা করেছে।
ড. মোমেন বলেন, তারা সীমান্ত হত্যার বিষয়ে এবং দুপক্ষের সীমান্তের জুড়ে থাকা ইস্যু মোকাবিলা করে তা বন্ধের উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভাল এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবেশীদের মধ্যে বিরাজমান ইস্যুগুলো সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিশ্বে এক নজির সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ।
ভারত ও মিয়ানমারের সাথে থাকা সীমানা এবং সমুদ্রসীমা নির্ধারণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে নেতৃত্বের পরিপক্কতাও প্রদর্শিত হয়েছে।’